
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী আসাম থেকে
গুজরাট। দেশের পাশাপাশি রাজ্যেরও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরমে। এই করোনা অতিমারীতে
দেশের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে কেরালার মতোই জিএসটির উপর দুর্যোগ কর বসানোর পথ ধরতে
পারে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কেরালায় বন্যার পর বিপর্যয় ত্রাণ কর লাগু করেছিল সে রাজ্যের সরকার।

তবে সূত্রের খবর, দেশের
দরিদ্রদের কথা মাথায় রেখেই এই জিএসটি বা পণ্য এবং পরিষেবা করের পাঁচ শতাংশ
স্ল্যাবের আওতায় যা রয়েছে সেখানে এই দুর্যোগ করা বসানো হবে না। বাকি জিএসটির যে
স্ল্যাব রয়েছে সেখান থেকেই অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে
অর্থমন্ত্রকের তরফে। তবে এই কর বাস্তবায়িত হলে কতোটা সুরাহা হবে অর্থনৈতিক
ক্ষেত্রের? দ্য ইন্ডিয়ান
এক্সপ্রেসের তরফে কেরালা এবং আসাম এই দুই রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা
হলে তাঁরা জানান যে এই ধরনের পদক্ষেপ একেবারেই যথাযথ নয়। এমনিতেই শিল্পক্ষেত্রগুলি
বিশাল সংকটের মুখোমুখি রয়েছে।
সূত্রের খবর, কয়েক সপ্তাহ
বাদে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হবে। উল্লেখ্য,
কেরালাই একমাত্র রাজ্য যারা ভারতীয় সংবিধানের ২৭৯ এ
এর ধারা (৪) (এফ) ব্যবহার করে এই জাতীয় শুল্ক আরোপ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে,
“কোনও প্রাকৃতিক
দুর্যোগের সময় অতিরিক্ত সংস্থান এবং রাজস্ব বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়ের জন্য
একটি বিশেষ হার লাগু করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, জিএসটি
(রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ) আইন, ২০১৭ অনুসারে, “অন্য কোনও সরবরাহের” উপরে ১৫ শতাংশ
হার পর্যন্ত বিজ্ঞাপন ভালোরেমের (আনুমানিক মূল্যের ভিত্তিতে) শুল্ক আরোপেরও
ব্যবস্থা রয়েছে।

0 মন্তব্য