
ডেস্কও ব্যুরোঃ করোনা পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে দ্বিতীয় দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে লক
ডাউনের সময়সীমা। লক ডাউনের নির্দেশ গুলি সঠিক ভাবে পালন করতে বার্তা দেওয়া হয়েছে
রাজ্য গুলিকে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চলছে দেশ জুড়ে। রাজ্যের মানুষের স্বার্থে
একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেই মোতাবেক পৌঁছে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক একাউন্টে অর্থ।
মিলছে পরিষেবা। স্বচ্ছতা বজায় রেখে এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানুষকে পরিত্রাণে
প্রচেষ্টা সর্বাত্মক ভাবে চালাচ্ছে সরকার। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব
বোধজং নগর শিল্প তালুকে অবস্থিত একটি রাইস মিল পরিদর্শনে যান। উৎপাদন সংক্রান্ত
বিষয় খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সঠিকভাবে উৎপাদন হচ্ছে কিনা
এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা হচ্ছে কিনা তা দেখতেই এই সফর বলে জানান
মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ১৯ এপ্রিল মধ্যরাতের পর থেকে শিল্প
প্রতিষ্ঠান গুলিতে কাজ চালু করার জন্য। এক্ষেত্রে যে সকল জেলা গ্রিন জোনের মধ্যে
আসবে, সেই এলাকা
গুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা যাবে। সেই নির্দেশ মোতাবেক কতদূর
প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এই সফর বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এইদিন মুখ্যমন্ত্রী মাধববাড়ি একটি ইট ভাট্টায় যান। সেখানেও প্রস্তুতি খতিয়ে
দেখেন। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে পরিযায়ী শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান
করা হয়েছে। সেই সমস্ত সুবিধা শ্রমিকরা সঠিক ভাবে পাচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন। কথা
বলেন শ্রমিকদের সাথে। এই পরিষেবা গুলি সঠিকভাবে মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য
প্রশাসনিক আধিকারিক ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। সরকারী কর্মী এই সময়
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিষেবা প্রদান করে চলছে। এইটা রাজ্যের জন্য বড় দিক বলে
জানান তিনি।
রাজ্যের এক দুইটি জেলা ছেড়ে দিলে বাকি জেলা গুলি গ্রিন জোনে আসবে বলে আশা
ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান
এই সময়ে কোন মানুষ যাতে সিমান্ত অতিক্রম করে রাজ্যে আসতে না পারে,
সেই বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বড় ক্ষতি হবে
বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

0 মন্তব্যসমূহ