
মার্চের মাঝামাঝি দিল্লির নিজামউদ্দিনের ধর্মসভায় অংশ নেন প্রায় ২ হাজার
মানুষ। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব থেকে ধর্মগুরুরা আসেন
তবলিঘ-ই-জামাত নামে ওই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সভাতে। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর
সেই অতিথিরা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যান।
লকডাউনের আগে ও
পরে যখন বিভিন্ন রাজ্যে যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হদিশ মিলছে, তখন কিছু
সংখ্যক ব্যক্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় তাঁরা প্রত্যেকেই মধ্য-মার্চে
তবলিঘ-ই-জামাতের ধর্মসভায় অংশ নিয়েছিলেন। ব্যাপারটা যে কাকতালীয় নয় তা
বুঝতে বেশি দেরি হয়নি প্রশাসনের। সব যোগসূত্র মিলতেই নড়েচড়ে বসে
দিল্লির প্রশাসন। সভায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ওপর চালানো হচ্ছে কড়া
নজরদারি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত রাজ্য গুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়। এই
ধর্মীয় সভায় যারা যারা অংশ নিয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন তাদের শনাক্ত করে
কোয়েরেন্টানে রাখা হচ্ছে। রাজ্যে এখনো পর্যন্ত সেই ধর্মীয় সভায় অংশ
গ্রহণকারী ১৮ জনের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করতে পেড়েছে প্রশাসন। সেই মোতাবেক
বুধবার সেই সমস্ত মানুষদের সনাক্ত করে এ জি এম সি-র কোয়ারেন্টেনে পাঠানো
হচ্ছে। এদিন শহর আগরতলার ১৪ জনের বাড়িতে যায় পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা
শাসক সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী ও চিকিৎসক ও আধিকারিকেরা। তাদের আপাতত এম
জি এম সি-র কোয়ারেন্টেনে রাখা হবে। পরীক্ষা করা হবে নমুনা।
অনুরূপ ভাবে
উত্তর জেলার ২ জন , গোমতী জেলার ১ জন এবং ঊনকোটি জেলার ১ জনকে শনাক্ত করা
হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য এজি এম সি-তে পাঠানো হয়েছে। তাদের নমুনা
পরীক্ষা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে একই সঙ্গে সেই ধর্মীয় সভায়
রাজ্য থেকে আর কেউ গিয়েছিল কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের
কোয়েরেন্টে রাখা হচ্ছে। তারা প্রত্যেকেই সহযোগিতা করছে বলে জানান পশ্চিম
জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক।
0 মন্তব্যসমূহ