About Me

header ads

লকডাউন থমকে গেছে উপার্জন, স্ত্রী আর দিব্যাঙ্গন মেয়েকে নিয়ে অনাহারে দিনযাপন!


ডেস্কও ব্যুরোঃ একটা সময় আসামের করিমগঞ্জ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন। ছিল নিজের ঘর বাড়ি সবই। খিদের জ্বালায় কাজের সন্ধানে নিজ রাজ্য ত্যাগ করে ত্রিপুরা রাজ্যে আসেন সুনীল দাস। রাজ্যে এসে হত দরিদ্র সুনীল দাসের ঠাই হয় কাঞ্চনপুর মহকুমায়।
তখনই আলাপ হয় কাঞ্চনপুর মহকুমার রাধামাধবপুর এলাকার বাসিন্দা এক বিধবা মহিলার সাথে। সেই মহিলা একমাত্র দিব্যাঙ্গন মেয়েকে নিয়ে কোন ক্রমে দিনে এক বেলা খেয়ে বেচে রয়েছেন। মহিলার কাছ থেকে করুন কাহিনী শোনার পর সুনীল দাসের মন কাঁদে। তখন তিনি এই অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সবকিছু জেনে শুনে ঐ বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেন। মহিলার একমাত্র দিব্যাঙ্গন মেয়ের দায়িত্বও নিজ কাঁধে তুলে নেন। তার পর থেকে সবকিছু স্বাভাবিকই চলছিল।
বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে কোনক্রমে সংসার চালাচ্ছিলেন হত দরিদ্র সুনীল দাস। কিন্তু লক ডাউনের ফলে সুনীল দাসের সংসারের চাকা বর্তমানে থমকে গেছে। বর্তমানে তাদের না খেয়ে থাকার অবস্থা। কারন লক ডাউনের ফলে ভিক্ষা করার জন্য আগের মতো বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না সুনীল দাস। এইদিকে সুনীল দাসের কাগজপত্র করিমগঞ্জের হওয়ায় মিলছে না বিনামূল্যে রেশন সামগ্রীও।
সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের এক হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষণা করেছিল। কিন্তু হত দরিদ্র সুনীল দাসের কপালে এই টাকাও জুটলো না। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে স্ত্রী ও দিব্যাঙ্গন মেয়েকে নিয়ে অভুক্ত থাকার অবস্থা সুনীল দাসের। যে সুনীল দাস একদিন অন্যের কষ্টে ব্যথিত হয়েছিলেন, বর্তমানে সেই সুনীল দাসের দুঃখ, কষ্টের কথা শুনার মতোও কেউ নেই।
তবে এই লক ডাউনের সময়ে সরকার কিংবা প্রশাসন যদি সুনীল দাসের পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আর তাদের অভুক্ত থাকতে হবে না। তাই সুনীল দাস সরকারের নিকট সাহায্যের জন্য করুন আর্জি জানিয়েছে। এখন দেখার সুনীল দাসের করুনআর্তনাদ সরকার কিংবা প্রশাসনের নজরে পরে কিনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ