About Me

header ads

রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের আর্থিক সহায়তার কথা ভাবছে সরকার!


ডেস্কও ব্যুরোঃ লক ডাউনের মানুষের প্রচন্ড অসুবিধা হচ্ছে। সমস্ত কিছু জেনেও মানব সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখতে লক ডাউন জারি রাখা হয়েছে। সময় লাগতে পারে আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে। কিন্তু তা পূরণ হবেই। মানব সভ্যতা না থাকলে কিছুই সম্ভব নয়।
সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ধারা মোতাবেক ইটভাট্টা গুলিতে কর্মরত ২১,৮৯৯ জন বহিঃ রাজ্যের শ্রমিকদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সমস্ত শ্রমিকদের ১০০০ টাকা ব্যাঙ্ক একাউন্টে প্রদান করা হবে। যাদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট নেই তাদের নগদে টাকা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে বিনামূল্যে রেশন প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারী সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান আইন মন্ত্রী রতণ লাল নাথ।
গত দুমাসে ১৮০ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা এডিসি এলাকার জন্য প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যে জব কার্ড হোল্ডারের সংখ্যা ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৮২৬ টি। এর মধ্যে উপজাতি অংশের মানুষের জব কার্ড রয়েছে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫৫ টি। রাজ্যে ১২ টি পিছিয়ে পড়া ব্লকের মধ্যে ৯৩ হাজার ৬৮২ টি জব কার্ড রয়েছে। এদের কিছু বকেয়া ছিল রেগার মজুরী। বর্তমানে জব কার্ড হোল্ডারদের বকেয়া বাবদ ৯৪ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। তা প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক একাউন্টে চলে গেছে। আর কোন পাওনা নেই রেগা বাবদ। এর মধ্যে ৪০ কোটি টাকা উপজাতি অংশের জব কার্ড হোল্ডারদের জন্য প্রদান করা হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থ বছরে মজুরীর জন্য  ১০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ৯২,৮৯৯ জব কার্ড হোল্ডারদের ৫০০ টাকা করে একাউন্টে প্রদান করা হয়েছে। মোট ৪ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মে মাসের এডভান্স পেনশন দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৬০ জন এডিসি এলাকায় ভাতা পায়। তাদের জন্যও এগ্রিম ভাতা প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রিয় প্রকল্পে ভাতা প্রপাক এডিসি এলাকায় থাকা ৪৫,৬৩৮ জনকে ১০০০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এই তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী রতণ লাল নাথ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ