
ডেস্কও ব্যুরোঃ রাজ্যের করোনা আক্রান্ত প্রথম মহিলা বুধবার সুস্থ হয়ে জিবি
হাসপাতাল থেকে ফিরে যান। এদিন জিবি হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়
বার মহিলার সোয়াব টেস্টের নমুনা নেগেটিভ আসায় এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতির কারনে
মহিলাকে জিবি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আগামী ১৪ দিন মহিলা ইস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টে থাকবেন স্বাস্থ্য কর্মীদের
তত্বাবধানে। এরপর চিকিৎসকের নির্দেশ ক্রমে তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অনুমতি
দেওয়া হবে।
এদিন জিবি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সচিব সহ অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীর
উপস্থিতিতে মহিলাকে ছেড়ে রিলিজ করা হয়। সকলে করোনার বিরুদ্ধে জয় করে ফেরা রাজ্যের
প্রথম মহিলাকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় হাততালি দিয়ে অনুপ্রানিত করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ট্যুইট করে এই সংবাদ জানান।
Glad to share that first #COVID19 positive patient of Tripura has been discharged today, as she has recovered & found negative in consecutive tests— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) April 15, 2020
She has been sent for quarantine under medical supervision.
I Pray to Mata Tripurasundari so that State turns Corona free soon. pic.twitter.com/xsyQEPEsD7
রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্ত উদয়পুরের মহিলা দ্বিতীয় বারের সোয়াব নমুনা
রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার পর বুধবার বিকালে আগরতলা
সরকারী মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে ছাড়া হয়েছে। তবে
তিনি এখনই নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবেন না।
আগামি ১৪ দিন উদয়পুরের টেপানিয়া উপজাতি অতিথি শালায় প্রাতিষ্ঠানিক
কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তাকে। এইদিন এম্বুলেন্সে করে
মহিলাকে উদয়পুর পাঠানো হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কর্মীরা তার স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করবে। এরপর সিদ্ধান্তক্রমে ১৪ দিন পর সমস্ত শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে
মহিলাকে বাড়ি ফেরার অনুমতি প্রদান করা হবে।
বুধবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটা জানান স্টেট সারবিলেন্স অফিসার
ডাক্তার দীপ দেববর্মা। তিনি আরও জানান করোনা আক্রান্ত মহিলার বাড়িকে এপি সেন্টার
হিসাবে ধরে একটি এলাকা সিল করা হয়েছে। ২৮ দিন এই এলাকার সকলের স্বাস্থ্য বিষয়ে নজর
রাখা হচ্ছে। ২৮৮ দিনের মধ্যে নতুন করে কোন করোনা আক্রান্তের সন্ধান না পেলে এই
এলাকা থেকে সিল করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হবে।
ইতিমধ্যে ৭৩৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গোমতী জেলার ১১৬ টি নমুনা
পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এইদিন মুখ্যসচিব এক
নির্দেশ জারি করে বলেছেন লোকালয় সমস্ত কর্ম ক্ষেত্রে মাস্ক পড়া বাধ্যতা মূলক করা
হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রম্নত্রক প্রদেয় নির্দেশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত জারি করা
হয়েছে বলে জানান স্টেট সারবিলেন্স অফিসার ডাক্তার দীপ দেববর্মা।
অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত টি.এস.আর জওয়ানের শারীরিক অবস্থাও ধীরে ধীরে উন্নতি
ঘটছে। তার নমুনাও অনেকাংশে ভালো। অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। আগামি তিন থেকে চার
দিনের মধ্যে তার অবস্থার উন্নতি ঘটবে বলে আশা ব্যক্ত করেন স্টেট সারবিলেন্স অফিসার
ডাক্তার দীপ দেববর্মা। তার সঙ্গে হাই রিস্কে থাকা ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টও
নেগেটিভ এসেছে। পরিবারের সদস্যদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বহিঃরাজ্যে চিকিৎসাধীন রাজ্যের ৮ জনের মধ্যে দুই জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে
পাঠানো হয়েছে। তাদের অবস্থা ভালো। এই দুই জনই রাজস্থানের বিকানিরে চিকিৎসাধীন
ছিলেন।
স্টেট সারবিলেন্স অফিসার ডাক্তার দীপ দেববর্মা আরও জানান তিনটি জোনে সমগ্র
দেশকে করোনা পরিস্থিতিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেড,
অরেঞ্জ ও গ্রিন জোন। জোন অনুযায়ী ডিমারগ্রেশান করা
হবে। রাজ্যের গোমতী ও উত্তর জেলা অরেঞ্জ জোনে থাকবে। ২০ দিনের মধ্যে নতুন কোন
করোনা আক্রান্তের সন্ধান না পাওয়া গেলে গ্রিন জোনে রূপান্তর করা হবে। এছাড়া বাকি ৬
টি জেলা গ্রিন জোনে রয়েছে।
রাজ্যে পর্যবেক্ষণে রয়েছে ৭৫৫ জন। ইতিমধ্যে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণের সময় অতিক্রম
করেছে ১০ হাজার ১৫৫ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৪৫ জন রয়েছে। হোম
কয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৪৫৫ জন। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮০৩ জনের। তার মধ্যে ৭৩৮ জনের
নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। দুই জন পজেটিভ ও ৭৩৬ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে
স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এইদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়

0 মন্তব্যসমূহ