
ডেস্কও ব্যুরোঃ রাজ্য মন্ত্রী সভায় গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধানের বিষয়ে
শুক্রবার অবগত করেন শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। সাধারন ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের পর
থেকে রাজ্যে কোন প্রফেসর পোস্ট ছিল না। ২২ টা ডিগ্রি কলেজে এতদিন পর্যন্ত ছিল
সহকারী প্রফেসর ও এসোসিয়েট প্রফেসর। ১১৫ জন এসোসিয়েট প্রফেসর বর্তমানে ডিগ্রি কলেজ
গুলিতে কর্মরত। এই ক্ষেত্রে রাজ্য মন্ত্রী সভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসোসিয়েট
প্রফেসরের মধ্য থেকে ১০ শতাংশকে প্রফেসর হিসাবে সম্মতি দেওয়ার।
এই ক্ষেত্রে এসোসিয়েট প্রফেসর হিসাবে যারা তিন বছর কর্মরত এবং নির্ধারিত
বিষয়ের উপর পি.এইচ. ডি করেছেন এবং ১০ টি রিসারস প্রকাশিত হয়েছে ও এসোসিয়েট প্রফেসর
হিসাবে থাকা কালীন সময়ে তিনটি রিসারস প্রকাশিত হয়েছে, তাদেরকেই প্রফেসর পদে সম্মতি দেওয়া হবে। এতে ১২ জন এসোসিয়েট
প্রফেসর থেকে প্রফেসর পদে সম্মতি পাবে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান শিক্ষা মন্ত্রী
রতন লাল নাথ।

রাজ্যে করোনা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান হোম কোয়ারেন্টানে
রয়েছে ৫১৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে রয়েছে ১৪২ জন। পর্যবেক্ষণে ছিল ১০ হাজার
৮৭১ জন। ১৪ দিনের সময়সীমা অতিক্রান্ত করেছে ১০ হাজার ২১০ জন। শুক্রবার পর্যন্ত
নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৯ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৯০০ জনের। তার মধ্যে
রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে ২ জনের। নেগেটিভ এসেছে ৮৯৮ জনের। সুস্থ হয়েছে ১ জন।
চিকিৎসাধীন অপর করোনা আক্রান্তের অবস্থা স্থিতিশীল। এজিএমসি-র এন.টি.এইচ-২
বিল্ডিং-এ আগে ছিল ২০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র। এখন আরও ২০টি শয্যা
যোগ করে মোট ৪০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে আইজিএম হাসপাতালের
এন.টি.আই বিল্ডিং-এ কোভিড হেলথ সেন্টারে ৩০ শয্যার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যার নোডাল
অফিসার হচ্ছেন ডাক্তার রাধা দেববর্মা।
শুক্রবার থেকে টিএমসি ও এইএলএসে ওপিডি পরিষেবা বিনামূল্যে শুরু হয়েছে।
টিএমসি-থেকে প্রথম দিন ২৪৯ জন এবং এইএলএস
থেকে ১৪ জন পরিষেবা গ্রহণ করে। এতদিন
আইএলএসে কার্ডিও, নিউরো,
গায়নো, পেডিয়েট্রিক এই চারটি জরুরি বিষয় চালু ছিল। সুক্রবাআর থেকে সমস্ত বিভাগ চালু
করা হয়েছে। বহিরাজ্যে থাকা ১ হাজার ৭৬৯ জনকে একাউন্টে ৬১ লক্ষ ৫ হাজার ৯১৮ টাকা
ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে ৮ কোটি ৫৮
লক্ষ টাকা জমা পড়েছে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

0 মন্তব্যসমূহ