
ডেস্কও ব্যুরোঃ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সমগ্র দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও
লাগু রয়েছে লক ডাউন। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাচার একমাত্র উপায় হচ্ছে সামাজিক
দূরত্ব বজায় রাখা। এই পরিস্থিতিতে লক ডাউন ঘোষণার আগেই রাজ্য সরকার স্কুল,
কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু
হওয়ার সময় চলে যাচ্ছে। ফলে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা পিছিয়ে পড়তে পারে। এই বিষয়টি
গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে শিক্ষা দপ্তর অনলাইন ক্লাস ও বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে
পাঠদানের ব্যবস্থা করে।
রবিবার থেকে শুরু হয়েছে অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা অনলাইন ক্লাস ও
বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে পাঠদান। ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের বাড়িতে বসেই কেউ মোবাইলের
মাধ্যমে, আবার কেউ টিভির
পর্দায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্লাস দেখে শিক্ষা গ্রহণ করছে।
সংবাদ প্রতিনিধিদের ক্যামেরায় এই চিত্র ফুটে উঠেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়
শিক্ষা দপ্তর থেকে এই ধরনের ক্লাসের ব্যবস্থা করায় তাদের উপকার হয়েছে। তারা বাড়িতে
বসে ক্লাস নিতে পারছে। তার জন্য তারা রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দপ্তরকে ধন্যবাদ জানায়।

শিক্ষা দপ্তর থেকে এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় খুশি অভিভাবকরাও। এক অভিভাবিকা
জানান ওনার সন্তান ঘরে বসে টিভি দেখে দেখে সিলেবাস অনুযায়ী সবকিছু বুঝে নিচ্ছে।
এতে করে সন্তানকে আগের মতো করে সবকিছু বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে না। তিনি সকল অভিভাবকদের
প্রতি আহ্বান জানান সন্তানদের এই ক্লাস গুলি দেখানোর জন্য। পাশাপাশি তিনি রাজ্য
সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের ক্লাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ক্লাস ৩ মে
পর্যন্ত চালু থাকবে। পরবর্তী সময় শিক্ষা দপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু এই ধরনের ক্লাসের ফলে কিছুটা সমস্যাও রয়েছে। কারন রাজ্যের সর্বত্র নেট
পরিষেবা ভালো নয়। আবার কোথাও কোথাও সকল টিভি চ্যানেল দেখা যায়না। এই ক্ষেত্রে সকল
ছাত্র-ছাত্রী এই সকল ক্লাসের সুবিধা পাচ্ছে না। আবার ৩ মে-এর পর বিদ্যালয়ে
বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হলেও কিছুটা সমস্যা থেকে যাবে, কারন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে শহর এলাকা
সহ যে সকল এলাকায় নেট পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে সেই সকল এলাকায় এই অন লাইন ক্লাস
চালু রেখে, প্রত্যন্ত
এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশি শিক্ষক দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পঠন পাঠন
চালিয়ে যাওয়া ভালো হবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

0 মন্তব্যসমূহ