
ডেস্কও ব্যুরোঃ করোনাভাইরাস রুখতে লকডাউন দেশে এবার সামনে এল এক নয়া তথ্য। লকডাউন দেশে
দরিদ্র শ্রেণিকে ত্রাণ দানের কাজ শুরু হলেও বেশ কয়েকটি রাজ্য সাত বছরে
প্রায় ৪০ লক্ষ সুবিধাভোগী শ্রেণি যারা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায়
রয়েছেন তাঁদের সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই আইনের আওতায় সমাজের
দরিদ্র এবং কম অর্থ উপার্জিতদের ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য সরবরাহ করা হয়।
তবে এখনও
‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ থেকে যে অতিরিক্ত ত্রাণ বরাদ্দ
করা হয়েছে তা তোলেনি পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দিল্লি। প্রধানমন্ত্রীর
এই যোজনার মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তিকে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা
হয়েছে আগামী তিন মাসের জন্য। কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য বিতরণ
মন্ত্রকের (এমওএসিএফ এবং পিডি) সর্বশেষতম তথ্যে দেখা গিয়েছে যে ১৫ এপ্রিল,
২০২০ পর্যন্ত সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এনএফএসএ-এর আওতায়
গৃহীত ৮১.৩৫ কোটি ব্যক্তির পরিবর্তে ৮০.৯৫ কোটি সুবিধাভোগীকে চিহ্নিত করতে
সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ এখনও চিহ্নিত হয়নি প্রায় ৪০ লক্ষ সুবিধাভোগী।

লকডাউনের
ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও তলানিতে। বন্ধ হয়েছে সব শিল্প এবং কাজ। সেই
পরিস্থিতিতে এই সংখ্যাটাও কিছু কম নয়। দেখা যাচ্ছে ৪০ লক্ষ অর্থনৈতিকভাবে
পিছিয়ে পড়া মানুষেরা ভর্তুকিযুক্ত খাদ্য পাচ্ছেন না। যেখানে চাল ৩ টাকা
প্রতি কিলো, গম ২ টাকা প্রতি কিলো। যে রাজ্যে এই চিহ্নিতকরণে সবচেয়ে পিছিয়ে
রয়েছে সেটি হল বিহার। সেখানে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি ১৪.৪০ লক্ষ খাদ্য
সুবিধাভোগীদের, এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে এমওএসিএফ এবং পিডি-র রিপোর্টে।

0 মন্তব্যসমূহ