
ডেস্কও ব্যুরোঃ করোনা আবহে ‘দায়িত্বশীল বিরোধীর ভূমিকা পালন করছে কংগ্রেস ও রাহুল
গান্ধী’। কংগ্রে সাংসদের প্রশাংসা করে দলের মুখপত্র ‘সামনায়’ শনিবার এই
দাবি করেছে শিবসেনা। করোনা মহামারীর সম্মুখীন দেশ। সংকট গভীরে। এই
পরিস্থিতিতে রাজনীতি না করে জোটবদ্ধভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার কথা বলেছিলেন
কংগ্রেস সাংসদ। সেই প্রসঙ্গ তুলে সেনা শিবিরের আর্জি, করোনা নিয়ে মুখোমুখি
বৈঠকে বসুন শাসক ও কংগ্রেস শিবির।
এর আগে রাহুল তথা কংগ্রেস নেতারা সরকারের সমালোচনা করলে বিজেপির
নেতা-মন্ত্রীরা অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস অতিমারি নিয়েও রাজনীতি করছে। জবাবে
রাহুল বলেছিলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমার অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
কিন্তু আমি তু তু ম্যায় ম্যায়-এর মধ্যে জড়াতে চাই না। এখন সবাই মিলে কাজ
করলেই সাফল্য মিলবে।’
পুরনো জোটসঙ্গী বিজেপিকে বিঁধে এদিন উদ্ধব ঠাকরের দলের মুখপত্র সামনায়
লেখা হয়েছে, ‘মোদী ও রাহুলের পৃথক মতামত রয়েছে। বিজেপির অর্ধেক সাফল্য
এসেছে রাহুল গান্ধীকে কলঙ্কিত করে। আজও সেই ধারা অব্যাহত। কিন্তু, সংকটের
আবহে গান্ধীর ভূমকার প্রশাংসা করতেই হবে। দেশ বিপদে পড়লে বিরোধী দলের কী
ভূমিকা হবে তার আদর্শ আচরণবিধি স্থির করেছেন রাহুল গান্ধী।’

শিবসেনার
দাবি, ‘এর আগে করোনা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল সরঞ্জাম রফতানি বন্ধ
করতে মোদী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু, তখন
কর্ণপাত করা হয়নি। রাহুল বহু আগে করোনা নিয়ে সরকারকে সজাগ করলেও কাজ হয়নি।
উল্টে তখন মধ্যপ্রদেশে সরকার ফেলতে মন দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। রাহুল
বলেছিলেন যে, লকডাউন কোনও সমাধান নয়। এটা পুস বাটন-এর মতো। লকডাউন শেষ হলেই
আবার ভাইরাস ছড়াবে। লকডাউন আসলে টেস্ট করার ক্ষমতা, ভেন্টিলেটরের মতো
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ দেয়। যাতে সংক্রমণ বাড়লে
তার মোকাবিলা করা যায়।’ কংগ্রেসের মতই মনে করে সেনা শিবির। সামনায় এদিন
লেখা হয়েছে, ‘লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে পোক্ত কৌশলের প্রয়োজন।
এদিনর টুইটে রাগুল গান্ধীর বার্তা, ‘কোভিড ১৯ এর মত মহামাীকে দমন করা
একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এটাই একটা সুযোগ, যেখানে ভারতের একাধিক
বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার ও তথ্য বিশেষজ্ঞদের ব্যবহার করা যাবে। তাঁদের কাজে
লাগিয়েই এই সঙ্কটকালে উদ্ভাবন করা যাবে করোনা মোকাবিলার নয়া সমাধান।’
সবশেষে শিবসেনা মুখপত্র উল্লেখ, ‘করোনা প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীর মতামত
আমরা সবাই জেনেছি। মনে হয়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর অন্তত একবার তাঁর সঙ্গে
আলোচনায় বসা উচিত।’

0 মন্তব্যসমূহ