
ডেস্কও ওয়েব ডেস্কঃ লক ডাউনের মধ্যে বহিঃরাজ্যে আটকে পড়াদের রাজ্যে ফিরার একমাত্র ভরসা এ্যাম্বুলেন্স। কিছু দিন পূর্বে লক ডাউনের মধ্যে চেন্নাই থেকে
উদয়পুরের চারজন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রাজ্যে
এসেছিলেন। এরই মধ্যে শনিবার রাতে রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজার এলাকার তিন জন বেসরকারি
এ্যাম্বুলেন্সে করে চেন্নাই থেকে রাজ্যে এসে পৌঁছান। চেন্নাই থেকে তারা ১ লক্ষ ৩০
হাজার টাকার বিনিময়ে এই বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে।
এইদিকে চেন্নাই থেকে তিন জন শনিবার রাতে রাজ্যে আসার খবর পেয়ে রবিবার
স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা চেন্নাই থেকে যারা এসেছে তাদের বাড়িতে ছুটে যায়।
চেন্নাই থেকে আশা তিন জনের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হয়। তারপর তাদেরকে ১৪ দিন হোম
কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। ৮ মে পর্যন্ত তারা হোম
কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। চেন্নাই থেকে রাজ্যে আসা তিনজনের মধ্যে এক জন মহিলা ও বাকি
দুই জন পুরুষ। তারা জানায় ১৬ মার্চ তারা চিকিৎসা জনিত কারনে চেন্নাই গিয়েছিলেন।

২৫ মার্চ তারা রাজ্যে ফিরে আসার জন্য বিমানের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু লক
ডাউনের কারনে তারা আসতে পারেন নি। চেন্নাইতে তারা আটকে পরে। সেখানে তাদের খাবারের
সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল প্রতিনিয়ত। তাদেরকে যে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছিল তা খাবারের
যোগ্য নয়। তারা যেখানে ছিল সেখানে ত্রিপুরার ১২২ জন লোক ছিল।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানে রেশন সামগ্রী
পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। ১০ দিন পর পর রেশন সামগ্রী দেওয়া
হচ্ছে। তবে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মিলছে না। এইদিকে বাড়িতে আসা তাদের জন্য
জরুরি হয়ে পড়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য
হয়ে তারা বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রাজ্যে এসেছে।

0 মন্তব্যসমূহ