
ডেস্কও ব্যুরোঃ সমগ্র বিশ্বে গত দুই দিনে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে
প্রায় ১৩ হাজার। তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। যদিও ভারতে এখনো পর্যন্ত করোনা
আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬০০। আর মৃত্যু হয়েছে ২৪৯ জন।
ত্রিপুরা রাজ্যে এখনো কারো মৃত্যু হয়নি। কিন্তু সকলে সচেতন না হলে সামনে বিপদ।
বিশ্বের বহু দেশের চিকিৎসা পরিষেবা ভারতের তুলনায় উন্নত। কিন্তু বর্তমানে সেই সকল
দেশ হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। তাই এখনই যদি সকলে সচেতন না হয়, তাহলে কেউই আমাদের বাঁচাতে পারবে না।
দেশের সরকার এবং রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা করেছে। রাজ্যের জিবি
হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত আইজিএম হাঁসপাতালকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। তবে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
করোনা মোকাবেলায় রাজ্যের প্রস্তুতি নিয়ে বলতে গিয়ে এই কথা বলেন মন্ত্রী রতন লাল
নাথ।

জীবনের ঝুকি নিয়ে এই সময়ে যারা কাজ করছেন অর্থাৎ চিকিৎসক,
স্বাস্থ্য কর্মী , সাংবাদিক, আরক্ষা কর্মী সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি আরও জানান এসমা আইন রাজ্যে জারি
করা হয়েছে। কিন্তু এখনো প্রয়োগ করা হয়নি। কিন্তু এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কেউ যদি
অযথা ধর্মঘট, ধর্না,
কিংবা ছুটি নেয় তবে রাজ্য সরকার চিন্তা ভাবনা করবে।
কোভিড-১৯ নিয়ে মানুষ যেন বিভ্রান্ত না হয় তার জন্য সংবাদ পরিবেশনের সময় সংবাদ
মাধ্যমকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও জানান এখনো পর্যন্ত রাজ্যে মোট
পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ১০ হাজার ৫৫৩ জনকে। তার মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার
৭০৯ জনকে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৬৮৫ জন, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৫৯ জন। তার মধ্যে দুই
জন করোনা আক্রান্ত।
তিনি আরও জানান শুক্রবার যে টি.এস.আর জওয়ানের নমুনায় করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে,
সেই টি.এস.আর জওয়ানের ট্রাভেল হিস্ট্রি খতিয়ে দেখে
সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করোনায় মৃত্যুর থেকে আরোগ্যের হার বেশি। তাই
তিনি করোনা আক্রান্তদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।

0 মন্তব্যসমূহ