
ডেস্কও ব্যুরোঃ লক ডাউনের আগে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষা
সম্পন্ন হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে নতুন শিক্ষা বর্ষ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লক
ডাউন চলায় তা সম্ভব হয়নি। সেই জন্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষায়
ছাত্র-ছাত্রীদের উত্তীর্ণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষায়
একাদশ শ্রেণীর তিনটি পরীক্ষা বাকি রয়েছিল, সোশিয়লজি, ষ্টেটিষ্টিক্স ও মিউজিক। এই পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না। এই তিন বিষয়ের যে সকল
ছাত্র- ছাত্রী সান্মাসিক পরীক্ষা দিয়েছিল তার ফলাফলের ভিত্তিতে মার্কস প্রদান করা
হবে। রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য
অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই
সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র
মূল্যায়নের কাজ আগরতলার ১৩ টি কেন্দ্রে করা হবে ২৪ এপ্রিল থেকে।

ডি.ডি.ও ও আই.এস দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন
বিষয়ে প্রাপ্ত নাম্বার অনলাইনে আপডেট করার জন্য। ২২ টি ডিগ্রি কলেজ ও ৭ টি কারিগরি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন লাইনে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। বিষয় এবং সেমিস্টার অনুযায়ী
ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় করা হচ্ছে। সেমিস্টারের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবে
বিশ্ববিদ্যালয়। এমনটা জানান শিক্ষা মন্ত্রী।
হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৫৩১ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৫৩ জন। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার
৫৭৯ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৩১৩ জনের। রেপিড এন্টিবডি টেস্টের কিট ৩
হাজার ৮৪০ টি রাজ্যে এসে পোচেছে। জেলা স্তরেও এই পরীক্ষা করা হবে। তবে এই ক্ষেত্রে
বিশেষজ্ঞরা সহায়তা করবে। ত্রিপুরা বোর্ড অফ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ২২ ও ২৩
এপ্রিল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশ ব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আপাতত এই পরীক্ষা
স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
যাতে কোন ভাবেই রাজ্যে অনুপ্রবেশ না ঘটে তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি
সুনিশ্চিত করতে সকলের সহযোগিতার আহ্বান জানান আইন মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

0 মন্তব্যসমূহ