
ডেস্কও ব্যুরোঃ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির নিরিখে ইতিমধ্যেই হটস্পট ও ক্লাসটার চিহ্নিত করা
হয়েছে। ব্যাপকহারে নমুনা পরীক্ষাই এখন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এই
আবস্থায় কোনও রোগী জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে গেলেই তাঁর নমুনা
পরীক্ষা হবে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য রোগ নিয়ে হাসপাতালে গেলেও রোগীর করোনা
পরীক্ষা করা হবে। করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশের প্রতিটি হাসপাতালকেই সব রোগীর
নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
সংক্রম রোধে প্রয়োজন ব্যাপকহারে করোনা পরীক্ষা। আর তার জন্য এই ধরনের
‘সুবিধাবাদী স্ক্রিনিং’ প্রক্রিয়া কাজে আসবে বলে মনে করছে
স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই কাজ করা
হবে হটস্পট ও ক্লাসটার অঞ্চলেই।
সার্ভিক্যাস ক্যানসার রোধে আমেরিকায়
এইভাবেই পরীক্ষা করা হয়েছিল। হাসপাতালে আগত সব মহিলাদেরই স্ক্রিনিং করা
হত। এক্ষেত্রে মহিলার শারীরিক অবস্থা যেমনই হোকনা কেন তাঁকে পরীক্ষা করা
হত।

তবে, করোনা পরীক্ষার কিটের অপ্রতুলতাই এই স্ক্রিনিংয়ের অন্যতম অন্তরায়
বলে মনে করছেন সরকারি আধিকারিকরা। যদিও, বর্তমানে সেই অসুবিধা অনেকটাই কেটে
গিয়েছে বলে দাবি করছে সরকার। ব্যাপকহারে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীরা
পুলিশের সঙ্গে পাড়ায় পাড়য় গ্রামে গ্রামে যাবেন। বিহার ও ছত্তিশগড়
ইতিমধ্যে এই স্ক্রিনিং পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। গ্রামে
গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা দেখছেন কারোর জ্বর,
সর্দি-কাষি হয়েছে কিনা।
গত ৯ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার কৌশল বদল করা হয়।
হটস্পট এলাকার সব বাসিন্দাদেরই নমুনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য কর্মীদেরও বলা হয়েছিল, কোরার জ্বার, সর্দি-কাশি থাকলে তারও যেন
করোনা পরীক্ষা করানো হয়। ফলে গত কয়েকদিনে দেশে করোনা পরীক্ষার হার বেড়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এর আধিকারিকের কথায়, ‘হটস্পট
এলাকায় নমুনা পরীক্ষার বিষয়টি স্বাস্থ্যকর্মীদের উরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
করোনা আক্রান্তের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শে এলেই তাদের পরীক্ষা করাতে
বলা হয়েছে। উপসর্গ সব ক্ষেত্রে বিবেচ্য হচ্ছা না। ‘

0 মন্তব্যসমূহ