
ডেস্কও ব্যুরোঃ শুক্রবার থেকে আই.এল.এস এবং টি.এম.সি হাসপাতালে ওপিডি পরিষেবা
বিনামূল্যে চালু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এইটা লক ডাউন যতদিন থাকবে ততদিন চলবে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন
করে এই সিদ্ধান্তের কথা জনান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। অন্যদিকে রাজ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৬৫ জন।
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৪২
জন। সমগ্র রাজ্যে পর্যবেক্ষণে রয়েছে ১০ হাজার ৭৯৮ জন। এর মধ্যে ১৪ দিনের সময়সীমা সম্পন্ন
করেছে ১০ হাজার ১৯১ জন। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮৬৫ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৬২
জনের। ৭৬০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। দুই জনের রিপোর্ট পজেটিভ
এসেছে। তাদের মধ্যে ১ জন সুস্থ হয়ে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন চিকিৎসকদের। আগামি ২১
এপ্রিলের মধ্যে দুই হাজার লোকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। উদয়পুর এবং
দামছড়ার সাত নালা কোর এলাকার ১০ শতাংশ লোকের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। মাস্ক পড়া
বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে। যার যেইটা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী মাস্ক পড়তে হবে। এছাড়া
রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সাথে জড়িত স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের ইনসেনটিভ
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। এর জন্য তিন সদস্যক কমিটি গঠন করা
হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে ডাক্তার কমল কৃষ্ণ বৈদ্য, ডাক্তার দীপ দেববর্মা ও ডাক্তার
শঙ্কর চক্রবর্তী। স্কেল অনুযায়ী এই ইনসেনটিভ দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল
নাথ।
অন্যদিকে গঠন করা হয়েছে টেকনিক্যাল এডভাইজারি কমিটি। বিশেষজ্ঞ সাত জন চিকিৎসক
এই কমিটিতে রয়েছেন। এরা প্রতিটি জেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে কিভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা যাবে সেই বিষয়ে অবগত
করবেন। একই সঙ্গে জেলার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য তারা সংগ্রহ করবে। প্রতি
সপ্তাহে নির্দিষ্ট একটি সময়ে প্রত্যেক জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
তাদের আপডেট করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রদেয় নির্দেশিকা যাতে তারা মেনে চলেন সেই
বিষয়ে টেকনিক্যাল এডভাইজারি কমিটি গুরুত্ব দেবে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।

অন্যদিকে স্টেট সারবিলেন্স অফিসার দীপ দেববর্মা জানান এতদিন শুধুমাত্র আগরতলা
সরকারী মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হতো।
বৃহস্পতিবার দপ্তর থেকে অনুমতি দিয়েছে আগরতলা সরকারী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের
কক্ষের সাথে একটি নতুন মেশিন প্রতিস্থাপন কড়া হয়েছে। আগামি দুই এক দিনের মধ্যে সেই
ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে। এতে করে আরও বেশি করে নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব
হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত করেন
মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি জানান ৬ হাজার ৯৭৯ জুমিয়া পরিবারকে পরিবার পিছু এক
হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। মন্ত্রী সভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সময়ে তাদের
সহায়তার জন্য কৃষি বিজ দেওয়ার বিষয়ে। তার জন্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরকে
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহিঃরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের
বাসিন্দাদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে,। তবে এই ক্ষেত্রে কোন ধরনের
প্রতারনা বরদাস্ত করা হবে না। প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া
বার্তা দেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। আগামি ২০ এপ্রিলের পর থেকে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা
মেনে রেগার কাজ শুরু হবে। উজ্জলা যোজনায় তিন মাস বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার
প্রদানের বিষয়টি আরও ব্যাপক ভাবে প্রচারে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

0 মন্তব্যসমূহ