
ডেস্কও ব্যুরোঃ সারা দেশের সাথে রাজ্যেও চলছে টানা লক ডাউন। এই লক ডাউনে জীবন
জীবিকা নিয়ে বিপন্ন অনেকেই। এই বিপন্ন পরিস্থিতিতে যাতে কোন পরিবারকে অনাহারে
দিনযাপন না করতে হয় সেইদিকে লক্ষ রেখেই রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘটন,
ব্যক্তিত্বরা এবং
সমাজসেবীরা এগিয়ে আসছেন পরিস্থিতির শিকার জনগণের সাহায্যার্থে। এতে পিছিয়ে
নেই রাজ্যের সহায়ক দলও।
আজ উওর জেলার ধর্মনগর মহকুমাধীন ওয়েস্ট ইচাই লালছড়া এসএইচজি ভিলেজ ফেডারেশনের
পক্ষ থেকে ইচাই লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিস্থিতির শিকার জনগণের মধ্যে খাদ্য
সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
বিপত্তি বাধে তখনই যখন নজরে আসে যে বন্টনকৃত খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে অধিকাংশ
দ্রব্যই মেয়াদ উত্তীর্ণ। যেমন লবণ, হলুদ গোঁড়া মশলা, মরিচ গোঁড়া
মশলা, ইত্যাদি দ্রব্য
৮ মাস, ১ বৎসর,
২ মাস এই ভাবে ম্যাদ উত্তীর্ণ দ্রব্যগুলো জনগণের
মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
এলাকার এক মহিলার মারফৎ বিষয়টি
উত্তর জেলা আইন সেবা কর্তৃপক্ষের আইন সেবক আব্দুল রহিমের নজরে আসে। উনি সাথে সাথে
ঘটনা স্থলে যান এবং খাদ্য সামগ্রী বণ্টনকারী মহিলা পিয়ারা বেগম এর সাথে আলোচনা
করেন, কিন্তু পিয়ারা বেগম কোন সঠিক উত্তর দিতে না পেরে আব্দুল রহিমের সাথে
দুর্ব্যবহার করেন। ফেইসবুকে লাইভ ভিডিও চলায় মহিলারা আর কথা না বাড়ীয়ে সাথে সাথে
এসএইচজি ভিলেজ ফেডারেশন অফিসের দরজা বন্ধ করে জানালা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু
করেন।
পরবর্তীতে আইন সেবক আব্দুল রহিম এলাকার এসএইচজি ভিলেজ ফেডারেশনের ইনচার্জ যিনি
নিজেকে এরিয়া কোঅরডিনেটর বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন উনার নাম অর্জুন বলে পরিচয় দেন।
উনাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে উনি সাফাই দিতে গিয়ে
জানান যে বিষয়টি কালকে উনার নজরে এসেছে,
উনি প্রত্যেকটি সেক্টরে না কি ফোন করে জানিয়েছেন যে
যাদেরকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে সেগুলি ফিরিয়ে এনে ভালো মাল দেওয়ার জন্য। উনাকে যখন জিগ্যেস করা হয় যে,
যদি গতকাল আপনার নজরে বিষয়টি এসেছে তাহলে সেই একই মাল
আজ আবার পেকেট ভর্তি করে মানুষকে দেওয়া হচ্ছে কেন? তিনি এর কোন যুক্তিযুক্ত উত্তর দিতে না পারায় আইন সেবক
আব্দুল রহিম এলাকার পঞ্চায়েত প্রধানের সাথে যোগাযোগ করেন।
অবশেষে ওয়েস্ট ইচাই লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীঃ হিরা দাস মহাশয় ঘটনা
স্থলে আসেন এবং বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন এবং এসএইচজি ভিলেজ ফেডারেশনের
সদস্যাদের বলেন যে তাঁরা যেন প্রত্যেকের বাড়ি থেকে নিজ দায়িত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ
খাদ্য সামগ্রী ফিরিয়ে এনে ভালো খাদ্য সামগ্রী বিতরন করার জন্য এবং গ্রাম
পঞ্চায়েতের প্রধানকে পরবর্তীতে এই ব্যাপারে অবগত করার জন্য।

পরবর্তীতে আইন সেবক আব্দুল রহিম বাড়ি চলে আসার কিছুক্ষণ পর এসএইচজি ভিলেজ
ফেডারেশনের সদস্যা পিয়ারা বেগমের ভাই কুতুব উদ্দিন(পলাশ) ও তার কাকা সুরোজ আলি সহ
আইন সেবক আব্দুল রহিম বাড়িতে চড়াও হয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আইন সেবক আব্দুল রহিম জানান যে কুতুব উদ্দিন (পলাশ) উনাকে প্রাণে মারার ধমকি
দিয়েছেন। উক্ত ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন কারণ উল্লেখিত কুতুব উদ্দিন(পলাশ)
একজন প্রভাবশালী সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য এবং এর পূর্বেও উনি বহু
হিংসাত্মক ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। উনি উক্ত ঘটনা সম্পর্কে ওয়েস্ট ইচাই লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীঃ হিরা দাসকে বিস্তারিত জানিয়ে উনার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।

0 মন্তব্যসমূহ