
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন সত্ত্বেও লকডাউন এর অজুহাতে মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছে চা বাগান মালিক কর্তৃপক্ষ। যে কারনে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে
কৈলাশহর মহাকুমার লক্সমি টি (Laxmi Tea) গ্রুপের মনুভ্যলী চা বাগান সহ
লক্সমি টি গ্রুপের অন্যান্য চা বাগান এলাকাগুলিতে। খাবার পৌঁছে দিয়ে প্রাণ
বাঁচানোর আকুল আবেদন শ্রমিকদের। চা বাগান এলাকাগুলিতে শ্রমিকদের নির্দিষ্ট
মজুরির পাশাপাশি রেশন সামগ্রী প্রদানের কথা থাকলেও লকডাউন ঘোষণার সাথে
সাথেই বাগান গুলিতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেই সাথে তাদের রেশন সামগ্রী ও
বন্ধ করে দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বাগান মালিক
কর্তৃপক্ষকে রেশন সামগ্রী প্রদানের অনুরোধ করেছিলেন সেই আবেদনে সাড়া
দেয়নি লক্সমি টি গ্রুপের বাগান মালিকরা বলে অভিযোগ । লক্সমি টি গ্রুপ
কোম্পানির মনুভ্যালি চা বাগান রাজ্যের প্রথম সারির চা বাগান । এই বাগানে
কাঁচা পাতা থেকে একেবারে স্বয়ংক্রিয় মেশিনে চা পাতা প্যাকেটজাত হয়ে
রাজ্যের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রপ্তানী
করা হয়।
প্রথম সারির বাগানে এভাবে শ্রমিকদের অসহায় চিত্র প্রকাশ এতে
সহজেই অনুমেয় রাজ্যের অন্যান্য বাগানগুলোর কি অবস্থা। চা বাগান শ্রমিকদের
অনেকেরই রেশন কার্ড নেই, কাগজপত্রের জটিলতার কারণে অনেকেরই আবার আধার
কার্ডের সাথে রেশন কার্ড লিঙ্ক করা হয়নি। তাই সরকারি সাহায্য থেকেও
বঞ্চিত এই বাগানের শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের বক্তব্য ভাইরাসের সংক্রমণে নয়,
খাদ্যের অভাবে সঙ্কটে ভুগছে তারা। হাতে কোনো টাকা পয়সা নেই । তাই সরকারি
সাহায্য না পেলে জল খেয়ে থাকতে হবে। মনুভ্যলি চা বাগান কর্তৃপক্ষের
শ্রমিকদের প্রতি এই অনাবিক আচরণে হতবাক শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।
0 মন্তব্যসমূহ