
ডেস্কও ব্যুরোঃ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ তৈরি ছাড়পত্র পেল বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড
ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।বৃহস্পতিবার নবান্নে বণিক মহলের সঙ্গে বৈঠকের
সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন তৈরির
বিষয়ে জানতে চান বেঙ্গল কেমিক্যালসের প্রতিনিধির কাছে। তখন তাঁরা ওষুধ
বানানোর ছাড়পত্রের আর্জি জানিয়েছিলেন। শুক্রবার রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলওতাতে
অনুমতি দিল। ওষুধ তৈরির সামগ্রী পাওয়া গেলেই বেঙ্গল কেমিক্যালস-এ উৎপাদন
শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
ওষুধ তৈরির প্রয়োজনীয় সামগ্রী যাতে দ্রুত পাওয়া যায়, সে বিষয়ে
কেন্দ্রকে চিঠি লিখে বেঙ্গল কেমিক্যালসের তরফে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের
খবর। কাঁচামাল এবং সামগ্রী পাওয়া গেলেই, উৎপাদনও শুরু হবে। তবে, এ রাজ্যে
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কোনও ঘাটতি নেই বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা-মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের
চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ চেয়ে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। শুধু
আমেরিকাই নয়, অন্য আরও দেশও ভারতের সাহায্য চাইছে। ভারতও বিশেষ পরিস্থিতিতে
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছে।ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব
মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে অনুমতিও
দিয়েছে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায়। তবে তা শুধুমাত্র চিকিৎসকদের অনুমতি
সাপেক্ষে।ভারতে করোনা আক্রান্তও বেড়ে চলেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও দু’শো
ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদিও অন্যান্য দেশের তুলনায় তা অনেকটাই কম। আমেরিকার মতো
যে সব দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তারা
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চাইছে।ওই সব দেশে ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে ভারত
মানবিকভাবে বিচার করছে। একই সঙ্গে দেশে যাতে ওষুধের ঘাটতি না হয়, সে দিকে
নজর রাখছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
এই পরিস্থিতিতে
কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের হাতে তৈরি বেঙ্গল
কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড।

0 মন্তব্যসমূহ