
আসামের করিমগঞ্জ জেলায় ধরা পড়লো
প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পজিটিভ রোগী।জানা গেছে করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত ব্যক্তি ৫২ বছরের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুরের বাসিন্দা। দিল্লিতে
নিজামুদ্দিন তবলিগি জমায়েতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর সেই জমা থেকেকরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
অসমে প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনাটি সামনে আসে বরাক
উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলায়। জেলার বদরপুর থানা এলাকার হাসানপুর সৈদপুর
গ্রামে। এই খবর চাউর হতেই গোটা বদরপুর থানা এলাকা সহ করিমগঞ্জ জেলায়,
রীতিমত করোনা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। খবর পাওয়া মাত্র ছুটে আসেন
জেলাশাসক সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা হাসানপুর
গ্রামে করোনা আক্রান্তের বাড়িতে।
সেখান
থেকে পরিবারের সকল সদস্যদেরকে কোচায়াদাম হাসপাতালে কোয়ারান্টিন করা হয়।
জানাগেছে পেশায় ব্যবসায়ী হাসানপুর সৈদপুর গ্রামের খায়রুন্নেছা বেগম ওমেন
কলেজের পাশ্ববর্তী বাড়ির প্রয়াত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র মুফতি জামাল উদ্দিন
৫২ গত এগারো মার্চ দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি রাজধানী এক্সপ্রেসে
গুয়াহাটি আসেন। হাতিগাও একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এরপর আসেন
বাড়িতে আসেন। শ্রীগৌরী হাসপাতালে ডাক্তার দেখান। মুফতি জামাল উদ্দিন বহু
দিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত। নিজাম উদ্দিন দরগাহে যাওয়ার পর থেকে জ্বরে
আক্রান্ত হন।
গুয়াহাটি এবং
শ্রীগৌরী হাসপাতালে চিকিৎসা করিযেও তার জ্বর কমেনি। তিনি না কি দিল্লি
নিজামুদ্দিন দরগাহে যাওয়ার কথা কোন ডাক্তারকে জানাননি। অন্য এক সুত্রে
জানাগেছে জামাল উদ্দিন নামের রোগীকে ক্যান্সার আক্ৰান্ত ছিলেন। মাৰ্চ মাসে
দিল্লী গিয়েছিলেন।
দিল্লী থেকে
শিলচর ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন সেই সময়ে ক্যান্সার
হাসপাতালে চিকিৎসকে কভিট টেষ্ট করার জন্য আগ্ৰহ প্ৰকাশ ককরেছিলেন কিন্তু
টেষ্ট না করে তারা নিজেদের ঘরে চলে গিয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ জামাল
উদ্দিন শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা
নিরীক্ষা শুরু করেন।
চিকিৎসকের
পরীক্ষায় তিনি করোনা আক্রান্ত বলে আজ ধরা পড়ে বাইরে পরীক্ষার জন্য নমুনা
পাঠালে আজ পজিটিভ রিপোর্ট আসে বলে জানা যায়। এদিকে বদরপুরের হাসানপুরে এক
ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত বলে ধরা পড়ার খবর চাউর হতেই গুয়াহাটি থেকে শুরু করে
বরাক বিশেষ করে করিমগঞ্জ জেলার সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিভিন্ন
প্রান্ত থেকে সঠিক খবর জানতে বদরপুরের সংবাদ কর্মীদের কাছে একের পর এক ফোন
আসতে শুরু হয়। তবে এই রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যারা দেখা করেছিলেন
তাদের সবাইকে কোয়ারান্টিনে রাখা হবে বলে সুত্রটি জানিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ