About Me

header ads

রাজ্যে আপাতত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য: মন্ত্রী রতন লাল নাথ!






ডেস্কও ব্যুরোঃ রাজ্যে আপাতত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য। করোনা আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শুক্রবার ফের একবার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। রাজ্যের উৎপাদিত ফসল বহিঃরাজ্যে বেশি করে রপ্তানির জন্য তিন মাসের জন্য পাইলট প্রজেক্ট গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রী সভা এই পাইলট প্রজেক্টের অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংবাদ জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
রাজ্যে উৎপাদিত ফসল বিশেষ করে আনারস, লেবু আগে যেই ভাবে বহিঃরাজ্যে প্রেরন করা হতো তাতে করে খরচ বেশি পড়তো। তাই রাজ্য সরকার নতুন করে ৩ মাসের জন্য পাইলট প্রজেক্ট করতে যাচ্ছে। দুইটি ট্রেন যথাক্রমে কাঞ্চনজজ্ঞা এক্সপ্রেস ও ত্রিপুরেশ্বরি এক্সপ্রেসে রেফ্রিজারেটার পার্সেল ভ্যান করা হবে। এতে কাঞ্চনজজ্ঞা এক্সপ্রেসে করে শিয়ালদা পর্যন্ত ব্যয় হবে ১ লক্ষ ০৮ হাজার ২৩৩ টাকা। এবং দিল্লি আনন্দ বিহার পর্যন্ত খরচ হবে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা। সার্ভিস প্রোভাইডার কে হবে তা পরবর্তী সময় টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিক করা হবে। রাজ্যে মন্ত্রী সভা বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এইদিন মন্ত্রী সভার বৈঠক শেষে মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী সভার অনুমোদনের কথা জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি জানান এই পাইলট প্রজেক্টের ফলে রাজ্যের উৎপাদিত ফসল বেশি মাত্রায় বহিঃরাজ্যে বিক্রয় হবে। ব্যয় হবে কম। রাজ্যের কৃষকরা লাভবান হবে।
রাজ্যে বহু গরীব মানুষ রয়েছে। যদিও ত্রিপুরা রাজ্যে তবলা, রিক্সা চালক, বিড়ি শ্রমিক, মোটর শ্রমিক, ফিসারম্যান, কারপেন্টার, লন্ড্রিম্যান, হকাররা ভাতা পাচ্ছে। তাদের সকলকে বর্তমানে দুই মাসের ভাতা এক সাথে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের অনেক গরীব রয়েছে। যাদের বাৎসরিক আয় ১ লক্ষ টাকার কম। এই ধরনের ১২ হাজার পরিবারকে চিহ্নিত করে এক কালীন ১ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদানের জন্য মন্ত্রীসভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে  বলেও জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান মন্ত্রীসভাকে শিল্প দপ্তর অবগত করেছে, রাজ্যের ৫৪ টি চা বাগানের মধ্যে ৪৭ টি চা বাগানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ শুরু করা হয়েছে। কৈলাসহরের ৪ টি, কল্যাণপুরের ১ টি, রাজনগরের ১ টি, এবং সেকেরকোর্টের একটি বাগানে কাজ শুরু করা যায়নি। এই গুলিতে কি ভাবে কাজ শুরু করা যায় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই চা বাগান গুলিতে ১১ হাজার ৩৯৩ জন শ্রমিক রয়েছে। তারা একদিকে যেমন সরকারের সাহায্য পাচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে তাদের কাজও চলবে। এতে উৎপাদনেরও ক্ষতি হবে না। রাজ্যে ২৫১ টা ইট ভাট্ট রয়েছে। এই ইট ভাট্ট গুলিতে ২২ হাজার ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছে। তাদের বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক। এই ইট ভাট্ট গুলির মধ্যে ২০৭ টিতে সিজন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু লক ডাউনের কারনে শ্রমিকরা যেতে পারেনি। বাকি ৪৪ টিতে এখনো কাজ চলছে। রাজ্যে মাঝারি ও বড় ১৩১ টি প্রডাকশন ইউনিট রয়েছে। সেই গুলিতে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। রবার বেইস ৪৫ টিতে এখনো কাজ শুরু হয়নি। এছাড়াও রাজ্যে ৮ হাজার ১৪২ টি ক্ষুদ্র শিল্প রয়েছে শিল্প এলাকার বাইরে, যেখানে ৩৪ হাজার শ্রমিক কর্মরত। সেই শিল্প গুলিতেও কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেণ্টাইনে রয়েছে ১১১ জন। হোম কোয়ারেণ্টাইনে রয়েছে  ২২৭ জন। মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৩১ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩ হাজার ৫১২ জনের। ২ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল। তার মধ্যে এক জন সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর হাঁসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপর জনের চিকিৎসা চলছে। তবে ইতিমধ্যে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আরও একবার তার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্টও যদি নেগেটিভ আসে। তাহলে তাকেও প্রথম জনের ন্যায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি আরও জানান এখনো পর্যন্ত মোট পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ১০ হাজার ৯৯৬ জনকে। ১৪ দিনের সময়সীমা পুর্ন করেছে ১০ হাজার ৬৫৮ জন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ