
রাজ্যের উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও
বিচারপতি অরিন্দম লোধের ডিভিশন বেঞ্চ ২৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে
বলি বন্ধের নির্দেশের পাশাপাশি একটা রায় দিয়েছে। সেই রায়ে বেশকিছু
নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকা গুলি রাজ্য সরকারের হাতে এসেছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এখন থেকে কোন ধর্মীয় স্থানে পশু বলি দেওয়া
যাবে না। রাজ্য সরকার এবং যেকোনো ব্যক্তি মন্দিরে পশু ও পাখি বলি দিতে
পারবে না। এর জন্য সচেতন করতে জেলা শাসককে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
মন্দির দর্শনের সময় কোন মানুষ যদি পশু পাখি নিয়ে আসে তা বলি দেওয়া যাবে
না। ফিরিয়ে নিতে হবে। খুলতে হবে শেল্টার হাউস। জেলাশাসক দের এই বিষয়ে নজর
রাখতে হবে। জেলা পুলিশ আধিকারিক ব্যক্তিগত ভাবে তদারকি করবে। মুখ্য সচিব
নজর রাখবে গোটা বিষয়ের উপর। উদয়পুরের মাতার বাড়ি এবং চতুর্দশ বাড়ি
মন্দিরে সিসিটিভি বসাতে হবে। রেকর্ডিং এর কপি প্রতি মাসে ফাইল করতে হবে।
জেলা প্রশাসনকে এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রচার করার জন্য বলা হয়েছে।
রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রচার ও সচেতনতা করার
জন্য।
সোমবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটা জানান আইনমন্ত্রী রতন লাল
নাথ। উচ্চ আদালতের এই রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা
হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল
২৫/১-এ ধর্মের অধিকার রয়েছে। আবার THE PRIVENTION OF CRUELTY TO ANIMALS
ACT, 1960-র SECTION -28-এ উল্লেখ রয়েছে ধর্মীয় কারনে বলি হলে কোন অপরাধ
হয় না। উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর রাজ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
সরকারের দায়বদ্ধতা রয়েছে। উচ্চ আদালতের রায়কে সরকার সম্মান জানায়।
কিন্তু উচ্চ আদালতের রায়ের পরে রাজ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
বিষয়টি বিতর্কিত। পক্ষে যেমন রয়েছে বিপক্ষেও রয়েছে। তাই রাজ্য সরকার
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সুপ্রিমকোর্টে SLP ফাইল করা হবে। যাতে আরও উচু
পরিসরে সিদ্ধান্ত জানা যায়। হিমাচল প্রদেশের এই ধরনের একটি মামলা বর্তমানে
সুপ্রিমকোর্টে পেন্ডিং রয়েছে।
যেহেতু বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে,
সেইহেতু সুপ্রিমকোর্ট থেকে সিদ্ধান্ত আসলে রাজ্য সরকারের পথ চলা আরও সুগম
হবে।ধর্মীয় স্থানে পশু বলি বন্ধের বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের পর মহালয়ার
দিন কালীপূজা উপলক্ষ্যে দুর্গা বাড়িতে বলি বন্ধ রাখা হয়। তবে যতটুকু খবর
উচ্চ আদালতের এই রায়ের পর শনিবারও উদয়পুরের মাতার বাড়িতে প্রতিদিনের
ন্যায় বলি দেওয়া হয়। এখন দেখার রাজ্য সরকার সুপ্রিমকোর্টে SLP ফাইল করার
পর সুপ্রিমকোর্ট কি রায় দেয়।
0 মন্তব্যসমূহ