
কুমার শচীন দেববর্মণ। শচীন কর্তা নামে পরিচিত । ১৯২৬ সালের ১ অক্টোবর
কুমিল্লায় ত্রিপুরার রাজত্বে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তিনি রাজা রাধা কিশোর
মানিক্যের রাজত্বকালে ছোটবেলায় একবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়
এসেছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে তিনি আগরতলায় বেশ কয়েকবার আসেন। সংগীত
কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন।
শচীন কর্তা সংগীত প্রতিভা কুমিল্লায় এবং তার
মন্ত্রমুগ্ধকর সুন্দর যাজকরা পরিবেশে অব্যাহত ছিল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া
কলেজ থেকে স্নাতক পাস করে শচিন্ড কর্তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার জন্য
কলকাতায় যান। খুব শীঘ্রই তিনি আধ্যাত্মিক কৃষ্ণ চন্দ্র দে এবং তার পরে
বাদল খানের শিষ্য হয়ে ওঠেন। অবিশ্বাস্য কণ্ঠে তাঁর গানের রেকর্ডগুলি
শীঘ্রই বাজারে আসার সাথে সাথে স্বীকৃতিটি শীঘ্রই তার পথে এসেছিল। পিয়াসা,
তিশরী মঞ্জিল, জুয়েল থিফ, তেরে মেরে স্বপ্নে, আরাধনা, তালাশ এবং আরও
অনেকের মতো বলিউড হিটের জন্য শচীন কার্তার রচনাগুলি ভারতের চলচ্চিত্র
সংগীতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কর্তা সর্বপ্রকার তাঁর প্রথম
প্রেম-বাংলা সংগীতে অগাধ অবদান রেখেছিলেন।
ভারতীয় সংগীত ইতিহাসের এক
উজ্জ্বল যুগের কিংবদন্তী শচীন দেববর্মণের মঙ্গলবার ছিল জন্ম দিন । এদিন
রবীন্দ্রভবন স্থিত কুমার শচীন দেববর্মণের আবক্ষ মূর্তিতে স্রদ্ধা জানান
বিধায়ক আশিস সাহা। সারা দেশ ব্যাপী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে সঙ্গীত
জগৎ এর কিংবদন্তী শিল্পী তথা রাজ্যের গর্ব কুমার শচীন দেববর্মণের জন্ম
দিনটি। লোক সংস্কৃতি বা ভারতীয় সংস্কৃতির প্রবাদ প্রতীম পুরুষ হিসাবে
পরিচিত কুমার শচীন দেববর্মণ। আজও সংগীত প্রেমী মানুষ তার সৃষ্টিকে পাথেয়
করে চলেন। এই গুনি মানুষের জন্ম দিনটিকে পালন করা হচ্ছে শ্রদ্ধার সঙ্গে বলে
জানান বিধায়ক আশিস সাহা। তথ্য , সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে হয় এই প্রভাতী
অনুষ্ঠান।
0 মন্তব্যসমূহ