
কাঞ্চনপুর থেকে 23 কিলোমিটার এর প্রত্যন্ত অঞ্চলের পূর্ণ জয়পাড়ার
বসবাসকারী জুম চাষী জহরাম রিয়াং। অক্লান্ত পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে
কাঞ্চনপুর শাখার এস বি আই ব্যাংকে টাকা জমানো শুরু করেন। উপার্জনের
59,000 টাকা সেভিংস করে একাউন্টে রাখে। চলতি বছরের ৩১ জুলাই জুম চাষী
জহরাম রিয়াং এর মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস আসে। এসএমএস -এ যালেন্স
দেখায় মাত্র 336.15.টাকা।
জুম চাষী জহরাম রিয়াং ৪ আগস্ট কাঞ্চনপুর শাখার
এস বি আই ব্যাংকে আসেন টাকা তোলার জন্য। আর তখনই ব্যাংক আধিকারি জুমচাষী
জহরামকে জানান একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই । তখন জুমচাষী জহরাম রিয়াং
ব্যাঙ্ক পাস বই আপডেট করে দেখেন গত ৪ মে একই দিনে তিনটি এ টি এম মেশিন
ব্যবহার করে একাউন্ট থেকে 59,000 হাজার টাকা তিন বারে টাকা তুলা হয়েছে।
ব্যাংক আধিকারিক জানান তিনটি এ টি এম ব্যবহার করে শিলিগুড়ি থেকে এই টাকা
তোলা হয়।
শেষ পর্যন্ত জহরাম ৯ আগস্ট কাঞ্চনপুর থানার দ্বারস্থ হন ।
রিসিভ কপি সহ একটি দরখাস্ত এসবিআই ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে দিয়ে আসেন
জুম চাষী জহরাম রিয়াং। জুম চাষী জহরাম রিয়াং এর অভিযোগের বিত্তিতে
তদন্তে নামে কাঞ্চনপুর থানার পুলিশ। কিন্তু এখন প্রায় ২০ দিন অতিক্রান্ত
হওয়ার পরেও পুলিশ এই মামলার কোনও সুরাহা করতে পারেনি। এখন দেখার এই হত
দরিদ্র জুম চাষি কি তার টাকা ফেরত পায় কিনা ।
0 মন্তব্যসমূহ