
ভালোবেসে বিয়ে দেড় বছরের মধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যু এক গৃহবধূ। ঘটনা
উদয়পুরে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত দেড় বছর আগে বিশ্বজিৎ দাসের মেয়ে পূজা
দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় সুনীল দাসের ছেলে শুভঙ্কর দাসের। ভালোবেসে সামাজিকভাবে
বিয়ে হয় তাদের। দুই পরিবারের লোকজনই তাতে রাজি ছিল। বিয়ের সময় ছেলে এবং তার পরিবারের
লোকজন যা দাবি করেছিল সবই মিটিয়ে দিয়েছে মেয়ের পরিবার। বিয়ের কয়েক মাস ভালই
কাটছিল তাদের ভালোবাসার সংসার। তারপর থেকেই শুরু হয় পূজা দাস এর উপর অত্যাচার।
পূজার স্বামী শুভঙ্কর দাস পেশায় গাড়ি চালক। কয়েকদিন পর পর পূজার স্বামী শুভঙ্কর
দাস সুনীল দাস শাশুড়ি পূজাকে তার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে
অত্যাচার চালাত।
গত কিছুদিন আগে পুজা গোমতী জেলা হাসপাতালে এক মৃত সন্তানের জন্ম
দেয় তারপর থেকেই পূজার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। যার পরিণতি ভয়ঙ্কর হয় রবিবার গভীর রাতে।
পূজার শ্বশুরবাড়ি থেকে রবিবার রাতে পূজার বাড়িতে খবর আসে পূজার অবস্থা খারাপ এবং
সে গোমতী জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রাতে ছুটে আসে পূজার মা সোমা রানী দাস, এবং এসে মেয়ের মৃত্যুর
খবর পায়। কিভাবে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তাও জানতে পারেনি পূজার মা।
এদিকে সোমবার
সকালে হাসপাতালে এসে পূজার মামা অভিযোগ করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেলেছে।
সোমবার ময়নাতদন্তের পর পূজার মরদেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে
মেয়ের পরিবারের তরফ থেকে উদয়পুর মহিলা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ
ঘটনার তদন্তে নেমেছে। গৃহবধুর মৃত্যু ঘিরে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া।
0 মন্তব্য