
বাড়ির পেছনে বাঁশ ঝোপ থেকে উদ্ধার হল এক বৃদ্ধার মৃতদেহ। ঘটনা পানিসাগর
মহাকুমার দেওছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গেছে এলাকার
বাসন্তী দেবনাথ নামে এক বৃদ্ধাকে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল
না।
৮ সেপ্টেম্বর বৃদ্ধার ছেলেরা পানিসাগর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরিও
করেছিলো। অবশেষে বহু খোঁজাখুঁজির পর সোমবার দুপুরে বৃদ্ধা বাসন্তী দেবনাথ
এর মৃতদেহ পাওয়া গেল দেওছড়া স্থিত তার নিজ বাড়ির পেছনে একটি বাঁশ গাছের
ঝোপ থেকে। খোঁজ মিলতেই পানিসাগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। মৃতদেহ
উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পানিসাগর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
সূত্রের
খবর বাসন্তী দেবনাথের স্বামী বিগত দুই মাস পূর্বে গত হয়েছেন। তার দুই
পুত্র ও দুই কন্যা রয়েছে। বড় ছেলে পিনাকি দেবনাথ নিজ বাড়ি ছেড়ে
এলাকাতে স্ত্রী সন্তানসহ ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ছোট ছেলে রাজকুমার দেবনাথ
মিজোরামে কর্মরত। বাসন্তী দেবী নিজ বাড়িতে রাজকুমারের স্ত্রীকে নিয়ে
থাকতেন। বিগত কিছুদিন পূর্বে রাজকুমার বাড়ি আসে । এও জানা যায় প্রায়সই
স্ত্রী সহ রাজকুমারের সাথে মা বাসন্তী দেবনাথের কলহ লেগে থাকতো। এসব কারণে
বড় ছেলে পিনাকী মাকে তার ভাড়া বাড়িতে গিয়ে তার সাথে থাকার প্রস্তাব
দিয়েছিল বহুবার। মৃতা বাসন্তী দেবনাথ এর স্বামী সদ্য ২ মাস পূর্বে প্রয়াত
হওয়ায় বাসন্তী দেবীর ইচ্ছে ছিল স্বামীর মৃত্যুর বছরান্তে তিনি বড় ছেলে
পিনাকির সাথে গিয়েই থাকবেন। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে যায় এই দূর্ঘটনা।
৭
সেপ্টেম্বর সকালে রাজকুমার দেবনাথ ও তার স্ত্রী অপর্ণা দেবনাথের সাথে মৃতা
বাসন্তী দেবনাথের বচসা হয়েছিলো বলে জানা যায়। তার খানিক পর থেকেই তাকে আর
পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে সোমবার তার মৃতদেহ পেতেই পুলিশ ছেলে রাজকুমার ও
তার স্ত্রী অপর্ণা দেবনাথকে জিঞ্জাসা বাদের জন্য আটক করে থানা নিয়ে যায়।
ধারনা করা হচ্ছে জায়গা সম্পত্তির কারনেই মাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন
ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ।
0 মন্তব্যসমূহ