About Me

header ads

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৯৭ শতাংশ আসনেই বিজেপি, দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস!

একদা লাল ত্রিপুরায় বিরাট গেরুয়া দাপট। সেই সঙ্গে বিপুল ভোট রিগিংয়ের অভিযোগ। সব মিলে পশ্চিমবঙ্গে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ভোট লুঠ করার অভিযোগ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই একই অভিযোগে তারাই বিদ্ধ হতে শুরু করেছেন ত্রিপুরায়। রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে।
 
প্রাথমিকভাবে প্রকাশ, ৯৭ শতাংশ আসনেই শাসক বিজেপি-আইপিএফটি দখলে। গত ২৭ জুলাই ভোট হয়। ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৬ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় শাসক পক্ষ। বাকি ১৪ শতাংশ আসনে ভোট হলেও তাতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তোলে বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস।

যে ১৪ শতাংশ আসনে ভোট হয়েছে তার প্রাথমিক ফলাফল হল- গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৩৩টি আসনের মধ্যে ৫৯টির ফল এসেছে। তাতে বিজেপি জয়ী ৫৬টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতির ৮২টি আসনের মধ্যে ঘোষিত ১৫টি। তার মধ্যে ১৪টি শাসক দলের। নির্দলদের দখলে বাকি একটি।

জেলা পরিষদের ৭৯টি আসনের মধ্যে ঘোষিত ৪৮টির সবকটি গিয়েছে বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল রাজ্যে ব্যাপক ভোট লুঠ করছে বিজেপি। শাসক দল সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করে রাজ্যবাসী মোদীর নেতৃত্বে উন্নয়নের পক্ষেই সামিল হয়েছেন। নির্বাচনের ফল বের হতেই দেখা গেল বিরোধীরা নিশ্চিহ্ন। ফলাফলেই প্রকাশ, গত বিধানসভা নির্বাচনে দু দশকের ক্ষমতা হারিয়ে প্রধান বিরোধী দলের তকমা পাওয়া সিপিএম মুছে গেছে।

যদিও রাজ্য বামফ্রন্ট ও সিপিএমের অভিযোগ, লোকসভার মতোই পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিরাট রিগিং হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা কৈলাশহরের ফলাফল। এখানে শাসক পক্ষ দাঁড়াতেই পারেনি কংগ্রেসের কাছে। গেরুয়া ত্রিপুরায় এক ছটকা সবুজ আবিরের স্থান হল কৈলাশহর। বিপুল জয়ের পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জানিয়েছেন- নির্বাচনে সন্ত্রাস ও রক্তারক্তির ঘটনায় ত্রিপুরার মুখ পুড়েছে দেশের কাছে। তাঁর দাবি, রাজ্যকে গণহত্যার ল্যাবরেটরিতে পরিণত করেছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে কংগ্রেস। তিন নম্বরে নেম যায় বামেরা। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের কোনও ছবিই দেখা নেই রাজ্যে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ