
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
শনিবার প্রায় দিনভর চলা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর সর্বসম্মতিক্রমে
সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। স্থির করা হয়েছে, স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত না
হওয়া পর্যন্ত কার্যভার সামলাবেন সোনিয়াই। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা
জানান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবী আজাদ। একইসঙ্গে অবশেষে গৃহীত হয়েছে
সভাপতির পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফা।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত কিছু নতুন তথ্য আসায় কিছুক্ষণের জন্য
মুলতুবি থাকে বৈঠক। বিদায়ী সভাপতি রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের জানান, “বৈঠক
চলাকালীন জম্মু কাশ্মীরের কিছু নতুন সমস্যার কথা আমরা জানতে পারি, যে কারণে
বন্ধ করা হয়েছে বৈঠক। রাজ্যে কী হচ্ছে সে সম্পর্কে সরকারের উচিত
জনসাধারণকে সম্পূর্ণ তথ্য জানানো।”
তারও আগে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি বাছাই ঘিরে কিঞ্চিৎ নাটকীয়তার সৃষ্টি
হয়। জানা যায়, সভাপতি বাছাই পর্বে থাকতে চান না সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। সে
কারণেই ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান মা-ছেলে। দলের মুখপাত্র রণদীপ
সিং সুরজেওয়ালা দাবি করেন, ‘‘রাহুলের ইস্তফা এখনও পর্যালোচনার পর্যায়ে
রয়েছে। সন্ধেয় ওয়ার্কিং কমিটি এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে’’।
বৈঠক শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে নতুন সভাপতি বাছতে পাঁচটি গ্রুপ তৈরি
করে ওয়ার্কিং কমিটি। কথা হয়, ওই পাঁচটি গ্রুপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বেশ কিছুদিন ধরেই রাহুল
গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া কংগ্রেস সভাপতির পদে যোগ্য নেতাকে বাছাই করতে তৎপরতা
দেখা গিয়েছিল কংগ্রেসের অন্দরে। দুটি নাম নিয়ে চলছিল জোর চর্চা। সভাপতির
দৌড়ে ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও মুকুল ওয়াসনিক। আজ সারাদিন এই দুজনের নামই
আলোচিত হয়েছে। তবে শেষ হাসি হাসলেন গান্ধীরাই। অন্তত এখনকার মতো।
0 মন্তব্যসমূহ