
ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানি নেতৃত্বের সাম্প্রতিক মন্তব্যের
কড়া নিন্দা করল ভারত। বিদেশ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার বলেছে এই প্ররোচনাকারী
বিবৃতির মধ্যে জিহাদের ডাক এবং ভারতে হিংসা ছড়ানোর মন্ত্রণা রয়েছে।
নয়া দিল্লিতে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ
কুমার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যের
সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেথ করেন। তিনি বলেন, “এ গুলি অত্যন্ত
দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য। পাকিস্তানের পক্ষে স্বাভাবিক প্রতিবেশী হিসেবে
ব্যবহার করার সময় এসেছে।”
গত তিন সপ্তাহ সময়কাল ধরে ইমরান খান ভারতকে ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন
জম্মু কাশ্মীরে ভারতের সিদ্ধান্ত নিয়ে। সোমবার ইমরান খান বলেন, রাষ্ট্র
সংঘের সাধারণ অধিবেশন সহ সমস্ত আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি বিষয়টি উত্থাপন
করবেন।
২০১৬ সালে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা ভারতের পাঠানকোট বিমানঘাঁটিতে
হামলার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে না ভারত। ভারতের যুক্তি
সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।
পাকিস্তানের নৌসেনা কচ্ছ উপসাগর দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে পারে এ নিয়ে
যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সে সম্পর্কে রবীশ কুমার বলেন, ভারত গোয়েন্দা
রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত। তিনি বলেন, “পাকিস্তান বেশ কিছু বছর ধরে রাষ্ট্রীয়
নীতি হিসেবে সীমান্ত সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কাছে রিপোর্ট রয়েছে,
যে ওরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তান সে দেশের সন্ত্রাসবাদী
সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিদেশমন্ত্রক একইসঙ্গে জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি বিপজ্জনক বলে প্রচারের
জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। রবীশ কুমার বলেছেন, “পাকিস্তান জম্মু
কাশ্মীরের ভুল ছবি দিচ্ছে। ওরা দেখানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তানের পরিস্থিতি
বিপজ্জনক এবং এভাবে হিংসায় মন্ত্রণা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তান রাষ্ট্র
সংঘতে কী চিঠি লিখছে তাতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। ও নিয়ে কাগজ নষ্ট করা
অর্থহীন।”
পাকিস্তান বৃহস্পতিবার বলেছে রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ নীতি হল কাশ্মীর। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ
ফয়জল সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন পাকিস্তান সর্বদাই ভারতের সঙ্গে
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আগ্রহী থেকেছে কিন্তু ভারতীয় নেতৃত্ব তার জন্য
প্রস্তুত নয়।
0 মন্তব্য