
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।
একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইমরান
খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এই সিদ্ধান্তের কথা
ঘোষণা করেছে। সংসদে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়া এবং
রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর বিল পাশ হওয়ার পর এই
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরল ভাষায় বলতে গেলে, ভারতের হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়াকে এবার দিল্লিকে
ফেরত পাঠানো হবে। সংবাদসংস্থা এএফপিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ
কুরেশি জানিয়েছেন, “আমরা দিল্লিতে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত আনব এবং ওদের
রাষ্ট্রদূতকেও ফেরত পাঠাব।”
কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Prime Minister Imran Khan chaired a meeting of NSC.— Govt of Pakistan (@pid_gov) August 7, 2019
Prime Minister directed that all diplomatic channels be activated to expose the brutal Indian racist regime and human rights violations.
He directed Armed Forces to continue vigilance.#StandwithKashmir #Pakistan pic.twitter.com/3nqjcrwUQ3
পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে পাক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন সেনা
প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি এবং
অন্যান্যরা।
পাকিস্তানের সংসদে কাশ্মীর নিয়ে এক যৌথ বৈঠকে মঙ্গলবারই
ইমরান খান বলেছিলেন, “এর পর যুদ্ধ হবে যাতে কেউ জিতবে না কিন্তু যার ফল ভোগ
করবে গোটা বিশ্ব।”
এর আগে পাক সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়, “পাক বাহিনী কঠোরভাবে
কাশ্মীরিদের ন্যায্য সংগ্রামের সঙ্গে রয়েছে। এই ব্যাপারে আমাদের দায়বদ্ধতা
পূরণে আমরা প্রস্তুত এবং সে কারণে যতদূর প্রয়োজন ততদূর পর্যন্তই যাব আমরা।”
0 মন্তব্যসমূহ