
কুষ্ঠ রোগ চিহ্নিত করন শুরু হল সোমবার থেকে। তা চলবে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
এই কর্মসূচীকে সফল করে তোলার জন্য পরশমনি কর্মসূচীতে কুষ্ঠ রোগ চিহ্নিত
করনে পশ্চিম জেলায় ১২৫১ টি দল গঠন করা হয়েছে। এতে একজন আশা কর্মী এবং একজন
পুরুষ স্বেচ্ছা সেবক থাকবে। তারা প্রত্যেক বাড়িতে গিয়ে কুষ্ঠ রোগের লক্ষন
আছে কিনা এমন রোগী চিহ্নিত করবেন। সন্দেহ জনক রোগী খুঁজে পাওয়া গেলে তাদের
পার্শ্ববর্তি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্থানান্তর করবে। কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে
কুষ্ঠ রোগী যাতে নিজেকে লুকিয়ে না রাখতে পারে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি যাতে
দ্রুত চিকিৎসা পায় সেই উদ্দেশ্যেই এই অভিযান করা হচ্ছে। পশ্চিম জেলার ২
লক্ষ ১৬ হাজার ৩০২ টি বাড়িতে এই সমীক্ষা চালানো হবে। সব মিলিয়ে দুই বছরের
উর্ধে ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪১৪ জন এই সমীক্ষার আওতায় আসবে। ইটভাট্টা, চা বাগান
গুলির পাশাপাশি রাস্তার শিশুদেরও এই অভিজানের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সোমবার
লঙ্কামুড়া কমিউনিটি হলে জেলা স্তরের এই কর্মসূচীর সূচনা করেন বিধায়ক ডাঃ
দিলিপ দাস। গুটি বসন্ত এবং পোলিও মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ঠিক তেমনি ভাবে
মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্ম বার্ষিকী অর্থাৎ ২ অক্টোবরের মধ্যে পরিকল্পনা
নেওয়া হয় ভারতবর্ষকে কুষ্ঠ রোগ মুক্ত করার। প্রায় সাড়ে সাত হাজার দল এই
রোগ নির্ণয় এবং তাদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রোগ মুক্ত ঘটাতে পারে তার
জন্য কাজ করবে। যাতে করে সময়ের মধ্যে সমগ্র দেশের সাথে রাজ্যকেও কুষ্ঠ রোগ
মুক্ত হিসাবে ঘোসনা করা যায়। বর্তমানে ৩৬ জন এই রোগে আক্রান্ত। এরমধ্যে ১৪
জন সুস্থ হয়েছে। বাকীরাও তারাতারি শুস্থ হয়ে যাবে বলে জানান বিধায়ক ডাঃ
দিলিপ দাস।
এই রোগ যাতে ছড়াতে না পারে এবং রোগ মুক্তি ঘটানো যায় সেই
উদ্দেস্যেই এই পরশমনি কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ