
নয়া সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। জম্মু কাশ্মীরে
স্পেশাল পুলিশ অফিসার পদে কর্মরত ২৫০ জন পুলিশকর্মীর কাছ থেকে অস্ত্র
বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্র। সূত্রের খবর কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের আগের
দিন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই ২৫০ জন স্পেশাল পুলিশ অফিসার বা
এসপিও পদে কর্মরতরা প্রত্যেকেই চুক্তিভিত্তিক ছিলেন।
ফলে এই কর্মীরা খুব সহজেই চাকরি থেকে
অব্যাহতি নিতে পারতেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তার স্বার্থে
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এদের থেকে অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। কারণ মোদী সরকারের
আশংকা ছিল এই অস্ত্র নিয়ে চুক্তিভিত্তিক পুলিশকর্মীরা পালিয়ে যেতে পারেন বা
বেপাত্তা হয়ে যেতে পারেন।
এই সব চুক্তিভিত্তিক পুলিশকর্মীরা জঙ্গি
সংগঠনগুলিতেও নাম লেখাতে পারেন বলে আশংকা করেছিল প্রশাসন। ফলে সেই সম্ভাবনা
ঠেকাতেই অস্ত্র নিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।
এই ধরণের চুক্তিভিত্তিক পুলিশকর্মীরা বা
এসপিওরা আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে সাধারণ পুলিশ কর্মীদের সঙ্গেই কাজ করেন। অনেক
সময় এদের জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার প্রবণতাও তাকে আবার অনেক স্পেশাল পুলিশ
অফিসার জঙ্গিদের নিশানাতেও থাকেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা
প্রত্যাহারের পর বেশ কিছু প্রভাব পড়তে পারে, ভেবেছিল প্রশাসন। তাই
নিরাপত্তার কড়াকড়িতে এই সিদ্ধান্ত গুলি নেওয়া হয়। অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার
নির্দেশ দিয়ে পুলিশ স্টেশনগুলিতে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়।
বর্তমানে
উপত্যকায় সাধারণ পুলিশ কর্মীর তুলনায় সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস বা
এসআরপিএফের সংখ্যা বেশি। তবে সূত্রের খবর কাশ্মীরি পুলিশ কর্মীদের মধ্যে
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতার পরিমাণ বেশি। ফলে কেন্দ্রের নজরদারিতে
রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।
কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলার থানাগুলিতে তাই
সেন্ট্রাল ফোর্স রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, যাতে পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়। এক্ষেত্রে পুলিশ কর্মীদের মধ্যে থেকেই
বিদ্রোহ করার আশংকা রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্র। ফলে সতর্কতামূলক বেশ কিছু
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ