
ছন্দে ফিরছে জম্মু-কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন
হয়েছিল উপত্যকা। অবশেষে আজ থেকে চালু হচ্ছে ল্যান্ডলাইন ফোন পরিষেবা। আগামী
সোমবার থেকেই খুলছে স্কুল। এ প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব বি ভি আর সুব্রহ্মমণ্যম
সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, শুক্রবার সরকারি অফিসে কর্মীদের হার অনেকটাই
বেশি ছিল। স্বাভাবিকভাবেই কাজ কর্ম হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত ৫
অগাস্টের পর থেকে ভূ-স্বর্গে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ৩৭০
ধারা বাতিলের পর থেকেই নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে
জম্মু-কাশ্মীরকে। প্রশাসনের কড়াকড়ি শিথিল নিয়ে মামলাও হয়েছে সুপ্রিম
কোর্টে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটা রাতারাতি সম্ভব নয়।
সরকারকে এজন্য সময় দিতে হবে। প্রশাসনের কড়াকড়িতে মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা
স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। যার জেরে যোগাযোগ মাধ্যম কার্যত অচল কাশ্মীরে। শেষমেশ
সেই পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।
কাশ্মীর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যসচিব আরও বলেন,
‘‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য, যাতে কারও প্রাণহানি না হয়। ২০০৮, ২০১০, ২০১৮
সালে আপনারা দেখেছেন এখানকার ছবিটা, তখন কী হয়েছিল, আর এখন কী হচ্ছে দেখুন।
একজনেরও প্রাণহানি ঘটেনি। সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী গোটা পরিস্থিতি
ভালভাবে সামলাচ্ছে’’।
শুক্রবার বেশ কিছু মসজিদে প্রার্থনা হয়েছে। কিন্তু বড় মসজিদগুলোতে সেই
ছবি ধরা পড়েনি। শ্রীনগরের ফোরশোর রোড এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন,
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাথর ছুড়েছিল বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে বাসিন্দাদের
বেশ কিছু সম্পত্তি নষ্ট করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের
মুখপাত্র রোহিত কানসাল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অন্যদিকে, স্বাধীনতা
দিবসের প্রাক্কালে ইরফান নামে যে সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিল, তাঁকে ছেড়ে
দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ