About Me

header ads

মিলছে না ২ লক্ষ টাকা-জামিনদার, অসমে মুক্তি নেই দেশহীন মানুষদের!

আইনের চোখে তারা বিদেশি-বাংলাদেশি। আর বহু বছর ধরে ভারতে থেকে ভোট দিয়েও এনআরসি তালিকাভুক্ত নয় বলে তাঁরা বিদেশি। এমনই শত শত মানুষ বন্দি ডিটেনশন ক্যাম্পে। মুক্তির জন্য দরকার দু লক্ষ টাকা ও দু জন জামিনদার। তাও জোগাড় হচ্ছে না। ফলে বন্দিত্বই মেনে নিচ্ছেন তারা।
 
জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের জেরে লক্ষ লক্ষ অসমবাসী দেশহীন হয়েছেন। বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে এমন অনেকেই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে আটক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার তাদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বন্দিরা কেউই তার সুফল নিতে পারছেন না। এমন খবর জানাচ্ছে বিবিসি।

বন্যার জন্য জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ প্রকাশের চূড়ান্ত দিন পিছিয়ে গিয়েছে। একেই ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে উপচে পড়ছে এনআরসি বহির্ভূতদের ভিড়। তার সঙ্গে নতুন আরও শয়ে শয়ে মানুষকে আনা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যাবে।

বিবিসি জানাচ্ছে, শিলচর, কোকরাঝাড়, গোয়ালপাড়া, তেজপুর ও জোরহাটে মোট ছটি ডিটেনশন সেন্টার রয়েছে। এখানে বাংলাদেশি সন্দেহে শত শত ব্যক্তি বছরের পর বছর ধরে বন্দি। বাংলাদেশি চিহ্নিত করলেই হবে না। তাদের সে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করলেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হবে।

সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পর অসম সরকার সিদ্ধান্ত নেয় যারা তিন বছরের বেশি সময় বন্দি তারা মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য ২ লক্ষ টাকা ও দু জন জামিনদার দিতে হবে। স্থানীয় পুলিশ থানায় তারা প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দেবেন।

নিয়ম অনুসারে ডিটেনশন ক্যাম্পে কাউকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা যায় না। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হল ডিপোর্টেশন। স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের মতে এই পদক্ষেপ কোনও কাজেই আসবে না। সবই আইওয়াশ।

কিন্তু প্রশ্ন, বাংলাদেশ কখনই লক্ষ লক্ষ জনসমষ্টিকে নিতে চাইবে না।ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে এখন যারা বন্দি। তাদের মধ্যে মুসলিমদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যায় হিন্দুরাও রয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ