ক্ষমতা থাকলেও অনেক সময় অনেকেই তা কাজে লাগান না। কিন্তু সীমিত সামর্থ্য নিয়ে এক
সামান্য চাকুরিজিবি বছরের পর বছর ধরে গরীব ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার আলো প্রদাণ করে
চলেছেন। এবার ১৫ জন ছাত্রছাত্রী কে মধ্যাহ্ন ভোজন সহ শিক্ষার আলো প্রদাণ করছেন।
খোয়াইর
গণকী এলাকার যুবক পীযূষ রায়। ধলাই জেলা শাসক অফিসের কর্মচারী। চাকুরি সূত্রে তিনি
জওহরনগরে থাকেন। এখানে আসার পর থেকেই পীযূষ ব্যস্ত হয়ে পড়েন কিভাবে মানুষের উপকার
করা যায়। এই ভাবনা থেকে দু তিন বছর ধরে ছাত্রছাত্রীদের বিনে পয়সায় শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। নবম ও দশম
শ্রেণীর ২০ জন ছাত্রছাত্রীকে সপ্তাহে চার দিন করে বিনে পয়সায় শিক্ষা দিচ্ছেন।
এইগরীব ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি সপ্তম ও
অষ্টম শ্রেণির ৮ জন ছাত্রছাত্রীকে বিনে পয়সায় শিক্ষা দিচ্ছেন পীযূষ। খরচ চালানোর
জন্য একটি ছোট্ট কাপড়ের দোকান চালাচ্ছেন তিনি। এবার এই উদ্যোগ কে আরো সম্প্রসারিত
করে মাতৃচ্ছায়া স্টাডি সেন্টার চালু করলেন পীযূষ। এতে ১৫ জন অভাবী ছাত্রছাত্রী
দুপুরের খাবার সহ শিক্ষার আলো পাবে। অনেকটা ডে কেয়ার সেন্টার ধাঁচে ১২ টা থেকে
সন্দ্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত চলবে এই সেন্টার।
গোটা বিষয়ে পীযূষ জানান, "আমার মূল প্রেরণা মা। মা র উৎসাহেই আমি এই কর্মসূচী হাতে নিয়েছি। তবে
আর্থিক প্রতিবন্ধকতা এক্ষেত্রে বড় সমস্যা। চাকুরির সামান্য বেতনে সব কিছু সামলানো যাচ্ছে না। তবে যতদিন সম্ভব আমি এই
কার্যক্রম চালিয়ে যাবো"। সত্যিই অনুকরনীয় কাজ করছেন পীযূষ বাবু।
0 মন্তব্যসমূহ