
শ্বশুর বাড়ি থেকে ভাবী পুত্র বধূর রহস্য জনক অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায়
উত্তেজনা ছড়ায় কল্যাণপুর থানার অন্তর্গত পাগলা বাড়ি এ ডি সি – ভিলেজের নলং
বাড়ির এলাকায় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। মৃত
দেহ উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যায় পুলিশ। মৃত ভাবী গৃহবধূর
নাম সপ্তমী দেববর্মা। এই ঘটনায় হত্যার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ দেখায় মৃতার
পরিবার। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। অভিযুক্ত
প্রেমিকের নাম শালকা দেববর্মা। ক্ষুব্ধ মানুস জন পুলিশের কাছ থেকে
অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। নিজেরাই শাস্তি দেবে বলে অন্যায়
আবদার করতে থাকে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় কল্যাণপুর থানার অন্তর্গত পাগলা
বাড়ি এ ডি সি – ভিলেজের নলং বাড়ির বাসিন্দা শালকা দেববর্মার সঙ্গে প্রণয়ের
সম্পর্কে লিপ্ত হয় সপ্তমী দেববর্মা। ২০১৭ সালে ত্রিং উৎসবে তাদের পরিচয় হয়।
তার পর থেকেই জমে ওঠে ভালবাসা। এই সুবাদে জুবতী প্রায় সময় শালকার বাড়ি
গিয়ে থাকত বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে যুবক –
যুবতীর মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। এরপরেই বুধবার যুবকের বাড়ির একটি ঘড় থেকে
উদ্ধার হয় যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। এটিকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ মৃতার বাপের
বাড়ির লোকেরা। সরাসরি হত্যার অভিযোগ তুলেছে তারা।
এই খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে
ছুটে যায় কল্যাণপুর থানার পুলিশ। একই সঙ্গে যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ
আধিকারীক। বেশ কিছু সময় ধরে উত্তেজনা চলার পর যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করে
কল্যাণপুর হাসপাতালে আনা হয়। আনতে গিয়ে বাধ সাধে আমজনতা। তারা দাবি জানান
পুলিশ জেন এই ঘটনার ক্ষেত্রে সঠিক ভূমিকা পালন করে এবং অভিযুক্ত শাস্তি
পায়।এদিকে অভিযুক্ত শালকা দেববর্মার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা
গেছে অভিযুক্ত যুবকের মা জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পিতাও তার সঙ্গে
রয়েছে। বাড়িতে এই ঘটনার সময় অন্য কেউ ছিল না। শালকার বিরুদ্ধে হত্যার
অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা
উত্তেজনা বিরাজ করছে।
0 মন্তব্যসমূহ