
চিদাম্বরমকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত। প্রাক্তন
অর্থমন্ত্রীর জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গেল। আগামী ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত সিবিআই
হেফাজতেই থাকতে হবে দেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রথম সারির
কংগ্রেস নেতা চিদাম্বরমকে।
আদালত জানিয়েছে, চিদাম্বরমের পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিন তাঁর সঙ্গে দেখা
করতে পারবেন। সময়ে সময়ে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষাও হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
দিল্লির
আদালতে বিশেষ বিচারক অজয় কুমার কুহারের আদালতে পেশ করা হয় চিদাম্বরমকে।
তাঁকে পাঁচদিনের যে হেফাজতে নেওয়ার সিবিআইয়ের আবেদন তার বিরোধিতা করতে গিয়ে
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আইনজীবীরা বলেছেন, এ মামলায় তাঁর ছেলে কার্তি সহ সব
অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করে
কপিল সিবল বলেন, অভিযুক্তের প্রাঙ্গনে তল্লাশি করার জন্য তাঁকে হেফাজতে
রাখা যায় না। তিনি বলেন, কাউকে জামিন দেওয়া একজন মানুষের স্বাধীনতার
প্রশ্ন।
এদিন ভরা আদালতে হাজির ছিলেন চিদাম্বরমের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের
মধ্যে ছিলেন স্ত্রী নলিনী এবং ছেলে কার্তিও। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসও। বিজেপির তুমুল সমালোচনা করে সিবিআই এবং ইডিকে
ব্যাক্তিগত প্রতিশোধ স্পৃহা চরিতার্থ করার বিভাগে পরিণত করা হয়েছে বলে
অভিযোগ করেছে কংগ্রেস।
এদিন সিবিআইয়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
তিনি বলেন, “চিদাম্বরম যেহেতু অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তি, ফলে তাঁর এ
তদন্তে সহযোগিতা না করার দারুণ দক্ষতা রয়েছে।”
চিদাম্বরমের হয়ে সওয়াল
করতে গিয়ে অভিষেক মনু সাংভি বলেন, “অসহযোগিতা মানে যদি আমাকে পাঁচবার ডাকা
হয় এবং আমি না যাই। অসহযোগিতা মানে এমন উত্তর যা ওঁরা পছন্দ করছেন না।
ওঁরা চিদাম্বরমকে একবার ডেকেছিলেন। উনি গিয়েছিলেন। অসহযোগিতা কোথায় হল?”
চিদাম্বরমের পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজত চেয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা
বলেন, “আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় চিদাম্বরমের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যক্ষ
ভূমিকা রয়েছে। জেরার সময়ে তিনি কিছু বলেননি। ওঁর বিরুদ্ধে সিরিয়াস অভিযোগ
রয়েছে এবং ওঁকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা হলে তা সামনে আসবে না।”
0 মন্তব্যসমূহ