
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা জমি বিতর্ক নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে
মধ্যস্থতাকারী প্যানেল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে মধ্যস্থতা পদ্ধতি নিয়ে
ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি সংশ্লিষ্ট প্যানেল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান
বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ শুক্রবার
রিপোর্টটি পড়ে দেখার পর সিদ্ধান্ত জানাবে।
প্রসঙ্গত অযোধ্যার জমি নিয়ে হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের বিতর্ক দীর্ঘ
কালের। হিন্দুদের দাবি, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি আসলে রাম জন্মভূমি। সেখানে
রামের মন্দির ভেঙে ষোড়শ শতকে বাবরি মসজিদ গড়ে ওঠে। এই যুক্তিতেই বিভিন্ন
হিন্দু সংগঠনের কর্মীরা ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে।
২০১০
সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় রাম জন্মভূমি- বাবরি
মসজিদের বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি নির্মোহী আখড়া,উত্তর প্রদেশের সুন্নি
কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ড এবং রামলীলা বিরাজমনের মধ্যে সমান ভাবে বণ্টন করে
দেওয়া হবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে হিন্দু ও মুসলমান উভয় পক্ষই দেশের শীর্ষ
আদালতে আর্জি জানায়। অযোধ্যা বিতর্ক যাতে আদালতের বাইরেই মধ্যস্থতার
মাধ্যমে মেটানো যায়, সেই লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট গত ৮ মার্চ তিন সদস্যের
মধ্যস্থতাকারী প্যানেল তৈরি করে। গত ১৮ জুলাই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ,
বিচারপতি এস এ বোবডে, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং আব্দুল নাজিরের
বেঞ্চ মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া বাতিল করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
১১ জুলাই
শীর্ষ আদালত প্রাক্তন বিচারপতি এফএম কলিফুল্লার নেতৃত্বাধীন মধ্যস্থতাকারী
প্যানেলকে অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে বলে। সেই মোতাবেক গত ১৮ জুলাই একটি
রিপোর্ট জমা দেন বিচারপতি কলিফুল্লা। মধ্যস্থতাকারী প্যানেলের অন্য দুই
সদস্য হলেন আধ্যাত্মিক গুরু শ্রী শ্রী রবিশংকর ও প্রবীণ আইনজীবী শ্রীরাম
পঞ্চু।
অযোধ্যা জমি মামলায় মূল বাদী গোপাল সিং বিশারদের পুত্র রাজেন্দ্র সিং
সুপ্রিম কোর্টে বেলন মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া বেশি এগোয়নি, ফলে এই প্রক্রিয়া
শেষ ঘোষণা করে দিয়ে আদালতে আবেদনের শুনানি শুরু হোক।
0 মন্তব্যসমূহ