
অমরনাথ যাত্রার মধ্যে নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল পাক জঙ্গিরা।
সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে জে এস ধিলোঁ শুক্রবার এ কথা
জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন গত তিন চার দিনে সেনাবাহিনী এ সম্পর্কিত নির্দিষ্ট
তথ্য পেয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, পাকিস্তান ও তার সেনাবাহিনী যে কাশ্মীরে
সন্ত্রাসে যুক্ত সে কথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে সেনাবাহিনীর। জম্মু
কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং এবং সিআরপিএফের আইজি জুলফিকার হাসানের
সঙ্গে একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের ছাপ মারা একটি ল্যান্ড মাইনের ছবি দেখিয়ে ধিলোঁ বলেন,
সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে তল্লাশি
চালাচ্ছে।
তল্লাশি চালানোর সময়ে জঙ্গিদের পরিচয় পত্রের সঙ্গে
অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ধিলোঁ বলেন, “আমরা
এদের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করেছি কিন্তু কাজ এখনও শেষ হয়নি”।
তিনি বলেন, “পাকিস্তান ও পাকিস্তান সেনা কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে
বদ্ধপরিকর। আমি আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি এ জিনিস ঘটতে দেওয়া হবে না। আমরা
প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করা যাবে না।”
নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশ ও যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে
লেফটেন্যান্ট জেনারেল বলেন পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এবং “খুবই
শান্তিপূর্ণ”।
ধিলোঁ বলেছেন, ৮৩ শতাংশ জঙ্গির পাথর ছোড়ার ইতিহাস রয়েছে। “আজকের পাথর
ছুড়িয়েরা আগামিকালের জঙ্গি”, একথা বলে তিনি বলেন, অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার
এক বছরের মধ্যেই জঙ্গিদের নিকেশ করা হবে।
জম্মু কাশ্মীরে ট্রুপের
সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে ডিজিপি দিলবাগ সিং বলেন, “গত কয়েকমাসে
আমরা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ট্রুপ বিশ্রামের সুযোগই
পাচ্ছে না।”
সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, জঙ্গিরা সন্ত্রাসের মাত্রা বাড়াবে বলে খবর পাচ্ছেন তাঁরা।
গত সপ্তাহেই ১০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে কাশ্মীরে। এর
মধ্যে রয়েছে ৫০ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৩০ কোম্পানি সশস্ত্র সীমা বল এবং বিএসএফ
ও আইটিবিপির ১০ টি করে কোম্পানি।
এদিনই উপত্যকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করার রিপোর্ট পাওয়া
যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যের
আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবং বিশ্রাম ও প্রশিক্ষণের কারণে এই
সিদ্ধান্ত।
0 মন্তব্য