
সোমবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন কর্ণাটকের সদ্য নির্বাচিত
মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। আস্থা ভোটে ইয়েদুরাপ্পার জয়ের পরেই
স্পিকারের পদ থেকে ইস্তফা দেন কেআর রমেশ কুমার। একদিন আগেই, রবিবার
কর্ণাটকের ১৪ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে বরখাস্ত করেছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ
রমেশ কুমার।
ইস্তফা ঘোষণার পরেই বিধানসভায় বিদায়ী ভাষণ দেন শ্রীনিবাসপুরের কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ কুমার।
আস্থা ভোট শুরুর আগেই কর্ণাটকের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া
বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত ইয়েদুরাপ্পা কখনও জনতার রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হননি।
২০০৮-এও না, ২০১৮ তেও না। বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে আদৌ স্থিতিশীল সরকার গঠন
করতে পারবেন তিনি? এই সরকার অসাংবিধানিক”।
এক সাংবাদিক সম্মেলনে
অধ্যক্ষ বলেছিলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১১ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক ও
তিনজন জেডিএস বিধায়ককে বর্তমান বিধানসভার পুরো সময়কালের জন্য তিনি বরখাস্ত
করেছেন। এর অর্থ, পঞ্চদশ বিধানসভার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিধায়করা
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
অধ্যক্ষ কুমার বলেন, আমি আমার বিচারবিভাগীয় বিবেকের সাহায্য নিয়েছি। এর
আদে বৃহস্পতিবার তিন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে তিনি একই সাজা
ঘোষণা করেন। সেদিনই কুমার বলেছিলেন দুদিনের মধ্যে বাকি বিষয়গুলি সম্পর্কে
তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ