
মুম্বইয়ের সাম্প্রতিক বন্যায় কোথায় ছিলেন তাঁরা? কেন রাস্তায় দেখা যায়
নি বন্যাদুর্গতদের পাশে? বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে
এই প্রশ্ন রাখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, বিপদের সময়
মানুষের পাশে তাঁদের দেখা পাওয়া উচিত ছিল।
“কোথায় ছিলেন মুম্বইয়ের ফ্লাডের সময়? বিপদের সময় সাধারণ মানুষকে সাহায্য
করতে আমাদের রাস্তায় থাকা উচিত ছিল। এভাবেই তো দল বড় হবে,” মুম্বইয়ের
শীর্ষ কংগ্রেস নেতাদের বলেন রাহুল।
সদ্য কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া
রাহুল মুম্বই এসেছিলেন একটি মানহানির মামলার শুনানির জন্য। শুনানির পর
মুম্বই বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বসেই বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতি মিলিন্দ দেওরা,
প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় নিরুপম, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃপাশঙ্কর
সিং, নাসিম খান এবং বর্ষা গায়কোয়াড়, প্রাক্তন সাংসদ একনাথ গায়কোয়াড়, বিধায়ক
আমিন প্যাটেল এবং শীর্ষনেতা চরণ সিং সাপ্রা।
এর আগে আদালত চত্বরের
বাইরে কিছু কংগ্রেস কর্মী স্লোগান তুলে রাহুলকে আর্জি জানান, তিনি যেন তাঁর
ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন। রাজ্যের উচ্চপদস্থ নেতারাও যদিও একই
মর্মে রাহুলের কাছে এর আগে আর্জি জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবারের
বৈঠকে কোনও আলোচনা হয় নি বলেই সূত্রের খবর।
সূত্রের আরও খবর, সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবারের
বৈঠক থেকে যা বোঝা যাচ্ছে, দলের রাশ এখনও রাহুলের হাতেই। দলের নেতাদের আরও
দৃশ্যমান না হওয়ার জন্য তিরস্কার করা থেকে শুরু করে নির্বাচনী পরিকল্পনা,
সমস্তই ছিল বৈঠকে। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং বঞ্চিত বহুজন
আগাড়ি (ভিবিএ)-র মতো দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোটের নানাদিক নিয়েও আলোচনা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ