
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ত্রিপুরায়। পঞ্চায়েত
নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে
পরিস্থিত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রবিবার।
ধর্মনগর
পশ্চিম চন্দ্রপুরে সংঘর্ষে বিজেপির যুব মোর্চার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত
হয়েছেন এবং বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আরও
১৫টি মোটর বাইক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।
এ
ঘটনার জন্য বিজেপি সিপিএমকে অভিযুক্ত করেছে। আবার সিপিএম-র পাল্টা অভিযোগ
বিজেপির সমর্থকেরাও সিপিএমের জেলা অফিস ভাঙচুর করেছে। আক্রমণ করেছে দলের
নেতাদের।
জানা গেছে, রবিবার পশ্চিম চন্দ্রপুরে ভাগ্যপুর ও ইয়াকুব
নগরে বিজেপির সমর্থকরা মোটরসাইকেল এবং গাড়ি নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যে
প্রচারে বেরিয়েছিল। সেখানে সিপিএম কর্মীরা তাদের ওপর আক্রমণ করে বলে
অভিযোগ।
অভিযোগ এও, সিপিএম ঘনিষ্ঠ দুলু মিয়াঁর নেতৃত্বে একটি দল
প্রচারে আসা বিজেপি ও যুব মোর্চার কর্মীদের দা-লাঠি নিয়ে মারধর করে। গুলিও
ছোড়া হয়। প্রায় ২০টির মতো মোটরবাইক এবং দু’টি গাড়ি ছাই হয়ে গিয়েছে। গুরুতর
জখম হয়েছেন রাবেল মিয়াঁ, জগৎজ্যোতি দেব, রাহুলকিশোর রায় ও মিঠু নাম এক
বিজেপি সমর্থক। চিকিৎসার জন্যে তাঁদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে এক জনকে আগরতলায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হামলার খবর পেয়ে বিজেপির সমর্থকেরা এরপর ধর্মনগর মহকুমার সিপিএম জেলা অফিস ভেঙে তছনছ করে দেয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই, ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন ও বিজেপির কর্মীরা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিআরপিএফ, টিএসআর ও পুলিশ নামানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ