
আমি পাথরের উপর লেখা ভবিষ্যৎ-তুমি কতদূর
পর্যন্ত আমাকে আটকাবে ? আমি মুছে যাওয়া নাম নই-তুমি কতদূর আমাকে আটাকাবে?
তুম মুঝকো কব তক রোকোগে…
মন্ত্রীত্ব গিয়েছে দল ভাঙানোর খেলায়
ওস্তাদ ‘ত্রিপুরার মুকুল রায়’ বলে সুপরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সুদীপ রায়
বর্মণের। তিনি এখন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বুধবার ফের একবার
সোশ্যাল সাইটে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন হিন্দি কবিতায়।
ত্রিপুরায় পরিবর্তনের কাণ্ডারি সুদীপবাবু
কি এবার বিজেপে ছেড়ে পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে আসতে চান ? সেই জল্পনা আরও
উসকে উঠল। কারণ,তাঁর ফেসবুকে শেয়ার করা কবিতাটি বিদ্রোহের বার্তা। চোস্ত
হিন্দিতে কবিতাটি সম্পর্কে ফেসবুকে বলেছেন তিনি।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ২৭ জুলাই। তার
আগেই হেভিওয়েট সুদীপবাবুর মন্তব্যে শোরগোল। মনে করা হচ্ছে, এই কবিতা বার্তা
আসলে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। তাঁর অঙ্গুলি হেলনে
মন্ত্রীত্ব গিয়েছে ত্রিপুরায় অন্যতম রাজনৈতিত ব্যক্তিত্বের।
বিরোধী দলগুলি যেমন সিপিএম ও কংগ্রসের
দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী
গেরুয়া শিবির। এতেই বিতর্ক- পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের মতো
ত্রিপুরায় ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধেও ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতির পদ ছেড়ে
পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরেছেন সুবল ভৌমিক। তিনি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির
বিরুদ্ধে প্রার্থী হন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হয়
ত্রিপুরায়। দীর্ঘ দু দশকের বেশি বাম শাসন ও মানিক সরকার পরিচালিত বিধানসভায়
বিরোধী নেতা ছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। প্রথমে তিনি কংগ্রেস থেকে তৃণমূল
কংগ্রেস হন। পরে বিজেপি। এরপর ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু হাই
প্রোফাইল মন্ত্রীত্বের তকমা জোটেনি পুরো প্রদেশ কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে বিজেপিতে
নিয়ে আসা সুদীপবাবুর কপালে। হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
হাসপাতালের পরিষেবা ও চিকিসকরে উপর হামলার
পরে নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। সরকারের সঙ্গে সংঘাত
বাড়ছিল। কবিতা বার্তায় সেই সংঘাত আরও স্পষ্ট করলেন তিনি।।
0 মন্তব্যসমূহ