
সোমবার সকালে আগরতলার চাম্পামুড়া পশ্চিম আড়ালিয়া এলাকায় উদ্ধার দম্পতির
আত্মহত্যার ঘটনায় মৃত দম্পতির ছেলে ও পুত্রবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
ছেলে ও পুত্রবধূর নির্যাতনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। স্যুইসাইড নোট উদ্ধারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
বৃদ্ধ
দম্পতি যতীন্দ্র দাস ও তাঁর স্ত্রী শিখা দাসের আত্মহত্যার ঘটনায় স্থানীয়
বাসিন্দা জীতেন্দ্র দে-র অভিযোগে পূর্ব আগরতলা থানায় এক মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার আদালতে তাদের তোলা হলে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত।
পূর্ব
আগরতলা থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই আত্মহত্যার ঘটনায়
প্রতিবেশীরা বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে দেবাশিস দাস এবং পুত্রবধূ পূজা বৈদ্য দাসের
বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা জীতেন্দ্র দে ওই
ঘটনায় একটি মামলাও করেছেন। ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০৬/৩৪ ধারায় মামলা
রুজু হয়েছে।
তিনি জানান, বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে একটি সুইসাইড নোট
উদ্ধার হয়েছে। এতে ছেলে ও পুত্রবধূর নির্যাতনের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। এরই
ভিত্তিতে দেবাশিস দাসকে প্রথমে গ্রেফতর করা হয়েছে। পরে তাঁর স্ত্রী পূজা
বৈদ্য দাসকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে ওই বৃদ্ধ
দম্পতিকে অত্যাচারের প্রমাণ মিলেছে। তাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে
বিচারক মিত্রা দাসের এজলাসে তোলা হয়েছে। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ