About Me

header ads

পাথারকান্দির নির্যাতিতাকে রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচালেন পুলিশকর্মী!

অসমের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানাধীন আসলকান্দি গ্রামের নিখোঁজ এক কিশোরী উদ্ধার হয়েছে বদরপুরে।

মঙ্গলবার রাতে, ওই কিশোরীকে বদরপুর টাউন কমিটি অফিস বাড়ির ভূমিতল থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এক খবরের ভিত্তিতে বদরপুর থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাত প্রায় ৯ টা নাগাদ টাউন কমিটির অফিস বাড়ির ভূমিতল থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রী গৌরী হাসপাতালে নিয়ে যায়।

যেহেতু তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল তাই প্রচণ্ড রক্তক্ষরণের জন্য হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক করিমগঞ্জের সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

অপর্যাপ্ত রক্তক্ষরণের ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে একসময়ে রক্তের প্রয়োজন হয়। তখন বদরপুর থানার এএসআই মণিরুল ইসলাম নিজের রক্ত দিয়ে মানবিকতার নজির স্থাপন করে কিশোরীর প্রাণ বাঁচান।

শেষে, পুলিশের কাছে ধর্ষিতা কিশোরী বয়ান দেন। বয়ানে বলেন, তাঁর নাম জুনু বেগম (ছদ্মনাম)। বাড়ি পাথারকান্দি থানা এলাকার আসলকান্দি গ্রামে। সোমবার তাঁর মামার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। কিন্তু কতিপয় দুষ্কৃতী তাকে জবরদস্তি একটি অলটো গাড়িতে উঠিয়ে শিলচরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে তারা গণধর্ষণ করে। সেখান থেকে পালিয়ে সে মঙ্গলবার শিলচর থেকে করিমগঞ্জগামী একটি ট্র্যাভেলারে ওঠে বদরপুর পৌঁছায়। এখানে এসে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে টাউন কমিটির অফিসের বারান্দায় বসে। এরপর আর কিছু বলতে পারে না। সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে।

এদিকে, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সেখানে একটি কিশোরী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে রয়েছে বলে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে তারা গিয়ে জুনু বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

এদিকে মেয়ে মামার বাড়ি গিয়ে পৌঁছায়নি শুনে জুনুর মা বাবা তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও মেয়ের হদিশ না পেয়ে শেষে গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হন।

তবে, মঙ্গলবার এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ফোনে জুনুর বাবাকে জানান, তাদের মেয়েকে শিলচরের এক চা স্টলে দেখা গিয়েছে। এই খবর শুনে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ার উপক্রম জুনুর মা-বাবার।

ইতিমধ্যেই, বদরপুর পুলিশের কাছ থেকে তাদের মেয়ে উদ্ধারের খবর পেয়ে বুধবার সকালে তারা করিমগঞ্জ পৌঁছেছেন।

ভুক্তভোগী জুনুর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার বাবার কাছে যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল তাঁকেও খুঁজছে পুলিশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ