
কর্নাটকের রাজনৈতিক সংকটের জল এবার গড়াল শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। কংগ্রেস
এবং জনতা দলের (সেকুলার) বিধায়কদের আবেদনের ভিত্তিতে কোর্ট নির্দেশ দিল,
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টায় পদত্যাগী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে হবে
বিধানসভার স্পিকারকে।
একঝাঁক বিধায়ক পদত্যাগ করায় কর্নাটকে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে
জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কিমারস্বামী
ছাড়া মন্ত্রীসভার বাকি সকলেই পদত্যাগ করেছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে,
ক্যাবিনেটে জায়গা দিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা রুখতেই এমন পদক্ষেপ।
কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। ইতিমধ্যেই ১০ জন বিদ্রোহী বিধায়ক শীর্ষ আদালতের
দারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্পিকার রমেশ কুমার ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের
ইস্তফা গ্রহণ করছেন না। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
রঞ্জন গগৈ রায় দিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা ৬টায় পদত্যাগী বিধায়কেরা স্পিকারের
সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। এদিনের মধ্যে ওই
ইস্তফাপত্রগুলি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে স্পিকারকে।
ইতিমধ্যেই
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরিয়াপ্পার
নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালার সঙ্গে দেখা করেছে।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অবিলম্বে পদত্যাগী বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করতে হবে
স্পিকারকে।
এদিনই কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যের রাজনৈতিক সংকট নিয়ে বৈঠক করার
কথা রয়েছে কুমারস্বামীর। ওই বৈঠকে কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার, ঈশ্বর
খান্দ্রে, সিদ্দারামাইয়া, কে সি ভেনুগোপাল, গুলাম নবি আজাদ, দীনেশ গুনডু
রাওরা উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ১৬ জন বিধায়ক পদত্যাগ করায়
সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কুমারস্বামীর সরকার। পদত্যাগীদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রী এম টি বি নাগারাজ এবং জোট সরকারের সমর্থক দুই নির্দল বিধায়ক আর
শঙ্কর এবং এইচ নাগেশ রয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ