
দাম্পত্য অশান্তির জেরে খুন এবং সেই খুনের
পিছনে কে রয়েছে সেই তথ্যই তুলে ধরল মৃতার ছেলে৷ ত্রিপুরার উনকোটি জেলার
কুমারঘাটের রতিয়াবাড়ি এলাকার ঘটনা৷ সেখানে বাসিন্দা অসীম দেবে সঙ্গে ১০
বছর আগে ঝর্ণা দাসের বিয়ে হয়৷ এটি ঝর্ণার দ্বিতীয় বিয়ে৷ তাদের এক মেয়ে
এবং এক ছেলে বর্তমান৷ এই ঝর্ণা দাসেরই মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে
চাঞ্চল্য৷
জানা গিয়েছে, বিয়ের পর থেকে পরিবারে
প্রতিনিয়ত সমস্যা লেগেই থাকত৷ প্রতিদিনই অসীম মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে
এসে স্ত্রীকে মারধোর করত এবং ছেলেমেয়ের সামনেই স্ত্রীর ওপর অমানবিক
নির্যাতন চালাত৷ মৃতার মেয়ে নিজে একথা জানায়৷ সে আরও বলে, বুধবার রাতে
তারা দুই ভাইবোন দাদুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল৷
রাতে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল
তাদের৷ কিন্তু আরও কিছুটা সময় কেটে যাওয়ার পরে তারা খবর পায় তাদের সৎ
বাবা তাদের মা-এর ওপর অত্যাচার করছে৷ বৃহস্পতিবার সকালে তারা খবর পায়
তাদের মা-কে হত্যা করা হয়েছে৷ মৃতার মেয়ের অভিযোগ তাদের সৎ বাবাই এই কাজ
করেছে৷
এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই
প্রতিবেশীরা হাজির হয়৷ খবর দেওয়া হয় কুমারঘাট থানায়৷ ঘটনাস্থলে আসে
পুলিশ৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়৷
কুমারঘাট থানার আধিকারিক প্রদ্যুৎ দত্ত
জানান ঘটনার পর মৃতার স্বামী অভিযুক্ত অসীম দেবকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাকে
কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ মৃতার স্বামী অসীমের কঠোর শাস্তির
দাবিতে ফুঁসছে পাড়া-প্রতিবেশী৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷
0 মন্তব্যসমূহ