
কখন অবসর নিচ্ছেন? এ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ পাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
এর মাঝে দুঃসংবাদ পেলেন তিনি। মাহি ও তার স্ত্রী সাক্ষীর বিরুদ্ধে আর্থিক
অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অর্থ আত্মসাতের গ্যাড়াকলে পড়েছে তাদের কোম্পানি।টাকা
নিয়েও সময়মতো ক্রেতাদের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছে না ভারতের
শীর্ষস্থানীয় রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী গ্রুপ আম্রপালি। এ অভিযোগ অনেক পুরনো।
সেই সমস্যা সমাধানে সরকারি নির্মাণ সংস্থা এনবিসিসিকে দায়িত্ব দিয়েছে
সুপ্রিমকোর্ট। ওই গৃহপ্রকল্পগুলোর দায়িত্ব হাতে নিয়ে সময়মতো শেষ করতে
নির্দেশনা দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।এ আম্রপালি মামলায় এবার সামনে এলো
চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফরেনসিক অডিটর পবন কুমার আগারওয়াল ও রবিন্দ্র ভাটিয়া
সুপ্রিমকোর্টকে জানিয়েছেন, ঋতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও
মাহি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে অনৈতিক চুক্তি করেছিল
আম্রপালি।
ধোনিকে সবাই মাহি ও তার স্ত্রী সাক্ষীকে ঋতি নামে চেনেন। আম্রপালি
মাহি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির পরিচালক ছিলেন সাক্ষী। আর
ধোনি কোম্পানিটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত।
পরে ক্রেতাদের বাড়ি না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চাপ তৈরি হওয়ায় সরে আসেন
ধোনি।মঙ্গলবার সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন
বেঞ্চকে রিপোর্টে দিয়েছে ফরেনসিক অডিট। তাতে বলা হয়েছে, গৃহপ্রকল্পের
ক্রেতাদের টাকা বেআইনিভাবে ঋতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডে
ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।সুপ্রিমকোর্ট আগে জানিয়েছিলেন, এ প্রকল্পের টাকা অন্য
পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২৩টি কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল। কোম্পানিগুলো তৈরি
হয়েছিল অফিসের কাজের লোক, যাদের বিশেষ কোনো আয় নেই এমন লোকদের নামে। এ ২৩
কোম্পানির মধ্যে রয়েছে আম্রপালি মাহি এবং আম্রপালি মিডিয়া ডিভিশন প্রাইভেট
লিমিটেড।
অডিট রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আম্রপালি
গ্রুপ থেকে মোট ৪২.২২ কোটি টাকা পেয়েছে ঋতি। যার মধ্যে স্যাফাইয়ার
ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডকে দেয়া হয় ৬.৫২ কোটি টাকা। তবে ঋতিকে কেন এত
টাকা দেয়া হয়েছিল তা পরিষ্কার নয়। এ ছাড়া আরও অনেক অনিয়ম রয়েছে। ঋতি ও
আম্রপালির মধ্যে বেশ কিছু চুক্তি মোটেই স্পষ্ট নয়।
0 মন্তব্যসমূহ