
পশুখাদ্য কেলেংকারিতে একটি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবকে জামিন দিল ঝাড়খণ্ড
হাইকোর্ট। আরজেডি প্রধান যে মামলায় স্বস্তির শ্বাস ফেলার সুযোগ পেয়েছেন
সেটি দেওঘর ট্রেজারির। সাড়ে তিন বছরের কারাবাসের অর্ধেকটাই অতিক্রম করে
ফলেছেন লালুপ্রসাদ, এই যুক্তিতে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি
অপরেশ কুমার সিং। লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ ছিল, তিনি
দেওঘর ট্রেজারি থেকে প্রতারণা করে ৮৯.২৭ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছিলেন।
তবে আরজেডি প্রধান এ ধরনের আরও দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার দরুন এখন
জেলেই থাকবেন। ১৯৯০-এ, আরজেডি যখন ক্ষমতায় এবং লালুপ্রসাদ যখন তৎকালীন
অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, সে সময়ে ৯০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য দুর্নীতির
দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। দেওঘর, দুমকা, এবং চাইবাসার দুটি ট্রেজারি
থেকে প্রতারণা করে টাকা তুলেছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে শাস্তি
পেয়েছেন তিনি।
এখন ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে টাকা তোলার দায়ে চতুর্থ পশুখাদ্য মামলা চলছে লালুর বিরুদ্ধে।
এপ্রিল মাসে লালুপ্রসাদ সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন যে তাঁর ২৪ মাস
জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছিল, ১৪
বছর কারাবাসের যে সাজা তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তার তুলনায় ২৪ মাস কিছুই নয়।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে জেলে রয়েছেন লালুপ্রসাদ। এখন তিনি রাজেন্দ্র ইন্সটিট্যুট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে চিকিৎসাধীন।
0 মন্তব্যসমূহ