About Me

header ads

কংগ্রেসে পদত্যাগের জোয়ার, দায়িত্ব ছাড়লেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া!

এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি জানিয়েছে, ৮-১০ দিন আগে পদত্যাগপত্র কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, জনাদেশ মেনে নিয়ে এবং দায়িত্ব গ্রহণ করে আমি এআইসিসি সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়ার চিঠি রাহুল গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। দায়িত্বভার দেওয়ার ব্যাপারে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য এবং আমাদের দলের সেবা করা সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সিন্ধিয়া বলেন, “আমি অন্যদের নির্দেশ দেওয়ার মত নেতা নই। যদি ফল ভাল না হয় সে জন্য এমনকি আমিও দায়ী, আমি সে কারণে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
পশ্চিম উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের হাল ফেরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সিন্ধিয়ার উপর। তিনি নিজেই মধ্য প্রদেশের গুণা লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির কৃষ্ণ পাল যাদবের কাছে লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে তাঁর নেতৃত্বে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে জিতেছিল কংগ্রেস।

মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছাড়লেন মিলিন্দ দেওরা

এর আগে মুম্বইয়ের কংগ্রেস সভাপতি মিলিন্দ দেওরাও রবিবার পদত্যাগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন জাতীয় স্তরে দলকে সাহায্য করতে চান তিনি। দেওরা এবারের লোকসভা ভোটে মুম্বই দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে শিব সেনার অরবিন্দ সাওয়ান্তের কাঠে পরাজিত হয়েছেন।

দেওরার এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমের প্রশ্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকেই এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তিনি।

মিলিন্দ দেওরা একই সঙ্গে প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনজন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতার সঙ্গে একযোগে অস্থায়ী দায়িত্ব পালন করতে চান তিনি।

মিলিন্দ দেওরাকে মুম্বইয়ের পার্টির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, যখন কংগ্রেসের মুম্বই ইউনিটের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চরমে। তিনি বলেছেন, “মহারাষ্ট্র কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ আমি গ্রহণ করেছিলাম দলের স্বার্থে। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের সংকট বাড়িয়ে তুলেছে। দলের মধ্যে নবীন বনাম প্রবীণ সংঘাত চরমে উঠেছে।

অন্তত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক, মধ্য প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত দীপক বাবরিয়া এবং একজন কংগ্রেস সভাপতি, গোয়ার গিরীশ চোড়াঙ্কর পদত্যাগ করেছেন।

মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা এবং কিষাণ কংগ্রেসের সভাপতি চেয়ারম্যান নানা পাটোল-ও পদত্যাগ করেছেন।

কংগ্রেস এবারের লোকসভা ভোটে মাত্র ৫২টি আসনে জিতেছে। ২০১৪ সালের চেয়ে ৬টি বেশি আসন পেয়েছেন। এদিকে বিজেপি একাই জিতেছে ৩০৩টি আসন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ