
অ্যাভিরল গঙ্গা মিশনের বিশেষজ্ঞদের মতে দেশের সবচেয়ে দূষিত নদী হচ্ছে ৩৬টি। এই দূষিত নদীগুলির মধ্যে ৪টি হচ্ছে ত্রিপুরার নদী।
রাজ্যে
মোট ১১টি নদী রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে দূষিত নদীগুলো হচ্ছে আগরতলার পশ্চিম
ত্রিপুরা জেলায় বয়ে যাওয়া হাওড়া নদী, ধলাই জেলার মানু নদী, সিপাহিজলা জেলার
বুড়িমা নদী ও গোমতী জেলার গোমতী নদী।
অ্যাভিরল
গঙ্গা মিশনের প্রতিনিধি তথা ওয়াটার ম্যান অব ইন্ডিয়া রাজেন্দ্র সিং
জানিয়েছেন, ওই ৪টি নদী মৃত্যুর কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে যদি মানুষের অভ্যাস
পরিবর্তিত না হয়। শীঘ্রই ওই নদীগুলিকে দূষণমুক্ত করতে সরকারকে পর্যাপ্ত
পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
তাঁর কথায়, বার্ষিক গড়ে ২২০০
মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় ত্রিপুরায়। এছাড়াও দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়
ত্রিপুরায় সারা বছর ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। কিন্তু সঠিক
পরিকল্পনার অভাবে নদীগুলির স্বাস্থ্য সন্তোষজনক নয়।
এমন বিপদজনক পরিস্থিতিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। বলছেন রাজেন্দ্র সিং।
ত্রিপুরার
ডেপুটি সিএম জিষ্ণু দেববর্মার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাজেন্দ্র সিং পরামর্শ
দিয়েছেন, রাজ্য সরকার ই-জল সাক্ষরতা শিবিরের আয়োজন করে জনগণকে দূষণের
বিষয়ে সজাগ করে তুলতে হবে। এছাড়াও, নদীর জলকে অপব্যবহার থেকে মুক্ত করতে
কড়া আইনব্যবস্থা লাগু করতে হবে। নদীর জলে আবর্জনা ফেলতে দেখতে শীঘ্রই
তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদান করতে হবে।
রাজেন্দ্র সিং আরও বলেন, জুম
চাষের ফলে ভূমি ক্ষয় হয় এবং পরিবেশের নানা ভাবে ক্ষতি সাধন করে। ২০ বছর
পুরনো একটি শিরিষ গাছ তার শিকড় দিয়ে ১.৫ লিটার জল ধারণ করতে পারে। কিন্তু
যদি প্রতি বছর জুম চাষের ফলে শতশত গাছ ধ্বংস হয় তাহলে মাটি ক্ষয় সাধন বাড়তে
থাকবে।
তাঁর মতে, রাজ্য সরকার ত্রিপুরায় বৃষ্টিপাত অনুযায়ী ফসল করার
কথা ভাবতে হবে। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফসল করলে চাষিদের পাশাপাশি
ত্রিপুরার জনতার ভবিষ্যৎও ভালো হবে। এছাড়াও, নদীর আশপাশে থাকা মানুষরা যাতে
নদীতে আবর্জনা না ফেলে তার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ